রূপসা সেতু – খুলনা

নির্মল বাতাস আর অপরুপ সৌন্দর্যের কারনে রূপসা সেতু খুলনাবসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। নদী ও বিশুদ্ধ বাতাসকে কেন্দ্র করে  নানা বয়সী মানুষ প্রতিদিন আড্ডায় মেতে ওঠেন এখানে।

বর্তমানে সেতুটি খুলনার একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যায় রূপসা সেতুতে দাঁড়ালে এই মনোরম দৃশ্য যেকোনো পর্যটককে আকর্ষণ করবে। বিশেষ করে বাতাসে প্রচণ্ড গতিতে রূপসা নদীর ঢেউগুলো যখন দুই পাড়ে আছড়ে পড়ে, তখনকার সে দৃশ্য যে কারও মন কাড়বে।

সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠেছে সোডিয়াম বাতি। আলোর রোশনাইয়ে জ্বল জ্বল করছে চারপাশ। মোহনীয় এক পরিবেশ আচ্ছন্ন করে রেখেছে। শহুরে ব্যস্ততার ঘেরাটোপ পেরিয়ে এ যেন অনন্য এক সৌন্দর্যপুরী।

এ সেতুটির নাম খানজাহান আলী সেতু হলেও স্থানীয়ভাবে রূপসা সেতু(Rupsha Setu) হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। কারণ সেতুটি রুপসা নদীর ওপর অবস্থিত। সেতুটির মাঝে দাঁড়ালেই মনে হবে কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি কিংবা উন্নত বিশ্বের কোনো সেতু। অথবা আপনার এও মনে হতে পারে যে, রূপসার বুকে অসংখ্য তারা জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। আসলে তা নয়, বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে সেতুতে। যাতায়াত করছে দ্রুতগামী যানবাহন।

খুলনা শহরের রূপসা থেকে ব্রিজের দূরত্ব ৪.৮০ কিলোমিটার। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায়। কারণ, সেতুটি খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বিশেষত মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে।

সেতুর দুই পাশে নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি আর চানাচুরের দোকান।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 23, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.