রূপসা নদী এবং সেতু – খুলনা

নদী ভ্রমন কিংবা মুক্ত মনে মুক্ত বাতাসে নদীর সৌন্দর্য করার জন্য খুলনা শহরের পাশদিয়ে বয়ে চলা রূপসা নদী খুলনা বাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। প্রায় প্রতিদিনই এখানে বিভিন্ন বয়সী মানুষের আনাগোনা থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের পদচারনা।

রাতের রুপসা যেন আরো মোহনীয় । ধূর থেকে  রূপসা নদী এবং সেতু দেখলে মনে হবে যেন কোন দক্ষ শিল্পির নিপুন হাতের ছোয়া। নীরব প্রকৃতি ও সেতু সোডিয়াম লাইটের আলোয় তৈরী হয় এই ক্যানভাস।

বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় রূপসা নদীটি খুলনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে এবং পশুর নদীর মাধ্যমে মংলা চ্যানেলে বঙ্গোপসাগরে যুক্ত হয়েছে। রূপসা নদীর দুই তীরেই রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

যান্ত্রিক জীবনকে পাশ কাটিয়ে সকাল থেকেই এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। হেসে-খেলে মাতিয়ে তুলছেন রূপসা নদীর বুকে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটিকে। সেতুর দুপাড়ে দর্শণার্থীদের পদচারণা দেখলে মনে হবে, যেন মিলন মেলা বসেছে।

এ সেতুটির নাম খানজাহান আলী সেতু হলেও স্থানীয়ভাবে রূপসা সেতু হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। কারণ সেতুটি রুপসা নদীর ওপর অবস্থিত।

খুলনা শহর থেকে রূপসা সেতুর দূরত্ব ৪.৮০ কি.মি। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যায়। কারণ, এই সেতু খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বিশেষত মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটিতে পথচারী ও অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য বিশেষ লেন রয়েছে।

কিভাবে যাবেনঃ

রূপসা নদী এবং সেতু খুলনা শহরে অবস্থিত। খুলনা শহর থেকে রূপসা সেতুর দূরত্ব ১৩.৯ কিলোমিটার। খুলনা থেকে রূপসা।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: আগস্ট 8, 2017

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.