রমনা পার্ক – ঢাকা

ঢাকা শহরের প্রানকেন্দ্র রমনা এলাকায় অবস্থিত সুনিবিড় ছায়াঘেড়া একটি উদ্যান রমনা পার্ক(Ramna Park)। ১৬১০ সালে মোঘল আমলে বিশাল এলাকা জুড়ে (পুরানো হাইকোর্ট ভবন থেকে বর্তমান সড়ক ভবন পর্যন্ত) প্রতিষ্ঠা করা হয় এই উদ্যানটির ।  বর্তমানে রমনা পার্কে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান হয়ে থাকে  যা বাংলার ঐতিহ্য হিসাবে স্থান করে নিয়েছে।  ছায়ানটের উদ্যোগে আয়োজিত এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন অনেক জনপ্রিয়।

বর্তমানে রমনা পার্কের আয়তন ৬৮ দশমিক ৫০ একর এবং উদ্ভিদ প্রজাতি ২১১টি।

প্রচুর ঘাস, লতাগুল্ম, ছোট ও মাঝারি গাছ, মৌসুমী ফুলে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী পার্ক এই রমনা। এখানে রয়েছে অতি দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষ ও পাখি। রমনায় রয়েছে ১৯টি রেইন্ট্রি গাছ। এর একেকটি গাছ বড় হলে দেড় বিঘা জায়গা দখল করবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। রয়েছে ৩৫০টি মেহগনি গাছও। সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে জাম, জলপাই, হরিতকি, পেয়ারা গাছ। পার্কের উত্তর পাশ লাগোয়া হেয়ার রোডে রয়েছে পাদাউক গাছ। পার্কে অসংখ্য গাছপালার ভিড়ে কিছু ফল এবং ঔষধি গাছও দেখা যায়। সবচেয়ে পুরনো মহুয়াগাছটি পার্কের প্রায় মাঝখানে অবস্থিত ছিল। মহুয়াগাছের পূর্বদিকে আছে মিলেশিয়া ও গুলাচ। পার্কের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে আছে এক নামে পরিচিত রমনা বটমূল।

পার্কটিতে একটি লেক রয়েছে যা স্থানভেদে প্রস্থ  ৯ থেকে ৯৪ মিটার পর্যন্ত এবং দৈর্ঘ্য ৮১২ মিটার।

বৈচিত্র্য থাকায় রমনা পার্কে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুল থাকে। পার্কে একটি সুন্দর অশোকবীথি আছে পূর্ব পাশে। বর্ষায় ঢাকায় আর কোথাও কেয়া না ফুটলেও রমনার কেয়া ফুল একেবারেই নিয়মিত। হেমন্তে ফোটে ধারমার বা পীতপাটলা। একদিনের আকর্ষণীয় ফুল পাদাউক। বসন্তের কোনো একদিন সোনালী হলুদ রঙের ফুলে ভরে ওঠে গাছ। পার্কের উত্তর পাশে আছে রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া।

কিভাবে যাবেনঃ

গাবতলী, যাত্রাবাড়ী কিংবা সদরঘাট থেকে যে কোন পরিবহনে শাহবাগে নেমে শিশুপার্ক হয়ে পূর্ব দিকে এগুলেই বা যে কোন কাউকে জিজ্ঞাসা করলে রমনা পার্ক দেখিয়ে দিবে।

 

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 7, 2018

রমনা পার্ক – ঢাকা, সম্পর্কে পর্যটকদের রিভিউ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.