বজরা শাহী মসজিদ – নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের অন্তর্গত দিল্লির শাহী মসজিদের অনুকরণে নির্মিত বজরা শাহী মসজিদ(Bajra Shahi Masjid) মোগল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করছে। মসজিদের কেন্দ্রীয় পথের উপর ফার্সি ভাষায় উৎকীর্ণ লেখা অনুযায়ী মোগল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের আমলে জমিদার আমানউল্যাহ কর্তৃক ১১৫৩ হিজরী সাল মোতাবেক ১১৩৯ বাংলা এবং ১৭৩২ সালে নির্মিত মসজিদটি আমানউল্যাহ এর বংশধর বলে কথিত আলী আহাং এবং সুজির উদ্দিন নামক দুই ব্যক্তি চীনা কাঠ, গ্লাস দ্বারা মসজিদের শোভাবর্ধন করেন। মসজিদ তৈরির ১৭৭ বছর পর ১৯০৯ সালে একবার মেরামত করা হয়।

মোগল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের বিশেষ অনুরোধে পবিত্র মক্কা শরীফের বাসিন্দা তৎকালীন অন্যতম বুজুর্গ আলেম হযরত মাওলানা শাহ আবু সিদ্দীক এ ঐতিহাসিক মসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিয়োজিত হন। তাঁর বংশধরগণ যোগ্যতা অনুসারে আজো এ মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে প্রথম ইমাম সাহেবের সপ্তম পুরুষ ইমাম হাসান সিদ্দীকি উক্ত মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

জনশ্রুতি রয়েছে যে, এ মসজিদে কিছু মানত করলে তাতে শুভ ফল পাওয়া যায়। তাই দেখা যায় যে, দুরারোগ্য ব্যাধি হতে মুক্তি পাওয়ার আশায় অগণিত মহিলা ও পুরুষ প্রতিদিন এ মসজিদে টাকা পয়সা সিন্নি দান করেন। এছাড়া বহু দূর- দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভা এ ঐতিহাসিক মসজিদখানার ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং দুর্লভ নিদর্শনের জন্য কাজ করছে।

কিভাবে যাবেনঃ

নোয়াখালী জেলা সদর মাইজদী হতে সোনাইমুড়ী গামী যেকোন লোকাল বাস সার্ভিস/ সিএনজি অটোরিক্সাযোগে বজরা হাসপাতালের সম্মুখে নেমে রিক্সা বা পায়ে হেঁটে ২০০ গজ পশ্চিমে গেলে বজরা শাহী মসজিদে পৌঁছা যাবে।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 14, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.