পাবনার প্রাচীন স্থাপনাশিল্পের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক নিদর্শন জোড় বাংলা মন্দির(Jor Bangla Mandir)। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি দেশের বাইরে থেকে পাবনায় বেড়াতে আসা লোকজন একবার হলেও ঘুরে যায় জোড় বাংলা মন্দিরটি। মন্দিরটি পৌর এলাকার দুই কিলোমিটার উত্তর-পূর্বভাগে কালাচাঁদপাড়া মহল্লায় অবস্থিত। মন্দিরের কারণেই এ পাড়ার আরেক নাম হয়েছে ‘জোড় বাংলা পাড়া’।
প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো মন্দিরটির দৈঘ্য ১৬ হাত, প্রস্থ ১৪ হাত, উচ্চতা ২২ হাত এবং প্রাচীরের বেড় তিন হাত। মন্দিরটিতে কোনো ছাদ নেই। দোচালা মন্দিরের দুই শেষপ্রান্ত উঁচু হয়ে একসঙ্গে মিশেছে। দেয়ালগুলো অত্যন্ত প্রশস্ত হলেও কামরাগুলো খুব ছোট ছোট। দোচালা বাংলোর মতো হওয়ায় মন্দিরটির নাম হয়েছে জোড় বাংলা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য লাল পোড়ামাটির ইট দিয়ে তৈরি মন্দিরটির প্রতিটি ইটের গায়ে অসংখ্য দেব-দেবীর মূর্তি খোদাই করা আছে।
১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে মন্দিরের যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হয়। মন্দিরের সঙ্গে সংস্থাপিত কোন শিলালিপি না থাকলেও স্থানীয়দের মতে, মুর্শিদাবাদের নবাবের তহশীলদার ব্রজমোহন ক্রোড়ী আঠারো শতকের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন।