ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি – টাঙ্গাইল

পোড়াবাড়ির চমচম (Porabari Chomchom) ! আহা, নাম আওড়াতেই জিভে জল চলে এলো l অতুলীয় স্বাদ আর গন্ধের কারণে দেশে ব্যাপক সুনাম রয়েছে টাঙ্গাইল পোড়াবাড়ির চমচমের। পোড়া ইটের মতো রঙের এই বিখ্যাত সুস্বাদু চমচমের কড়া মিষ্টির আবরণের ভিতরে রয়েছে গোলাপী আভাযুক্ত নরম অংশ। মিষ্টি জগতে ঐতিহ্যবাহী এই চমচম বৃটিশ আমল থেকে অবিভক্ত ভারতবর্ষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাঙ্গাইলকে ব্যাপকভাবে পরিচিতি করেছে।
এই বিশেষ চমচম প্রথম কে তৈরি করেন তা সঠিক কেউ বলতে পারে না। তবে অনেকের মতে গৌড় নামে এক ব্যক্তি সর্ব প্রথম পোড়াবাড়িতে এ চমচম তৈরি ও ব্যবসা শুরু করেন। কথিত আছে, আসাম থেকে আগত দশরথ গৌড় মতান্তরে অজ্ঞাতনামা একজন ঠাকুর ধলেশ্বরীর সুস্বাদু পানি ও এখানকার গাঢ় দুধ থেকে প্রথম চমচম নামের এই মিষ্টি তৈরি করেন। মনে করা হয়, ধলেশ্বরীর মিষ্টি পানি আর দেশি গাইয়ের খাঁটি দুধের জন্যই টাঙ্গাইলের চমচমের এই স্বাদ। পোড়াবাড়ির পানিতেই নাকি এই মিষ্টির স্বাদ লুকিয়ে রয়েছে । সে কারণেই চমচম এখন আরও অনেক জায়গায় তৈরি হলেও স্বাদে সেরা টাঙ্গাইলের চমচম, যেটা তৈরির প্রণালি রহস্যে ঢেকে রেখেছেন দশরথ গৌড়ের যোগ্য উত্তরসূরিরা। আর তাই, যমুনার কোলে প্রবল স্রোতস্বিনী ধলেশ্বরী নদীর সুস্বাদু পানি, গাভীর ঘন দুধ ও কারিগরদের অভিজ্ঞতার ছোঁয়ায় পোড়াবাড়ির চমচম ‘মিষ্টির রাজা’ হিসেবে সুনাম অর্জন করে। চমচমের স্রষ্টা দশরথ গৌড়ের সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে রাজারাম গৌড়, নারায়ণ কোকন হালুই, মোদন গৌড়, শিব শংকর ও কুশাই দেবের নাম উল্লেখযোগ্য। উনবিংশ শতাব্দির গোড়ার দিক থেকেই পোড়াবাড়িতে প্রথম চমচম তৈরি শুরু হয়। ত্রিশ দশকের শেষের দিকে আসামের রামেন্দ্র ঠাকুর, তীর্থবাসী ঠাকুর টাঙ্গাইল শহরের পাঁচআনী বাজারে মিষ্টি তৈরিসহ ব্যবসা শুরু করেন। এরপর থেকে পাঁচআনী বাজার মিষ্টিপট্টি নামে পরিচিতি হয়ে আছে। যমুনা থেকে আসা বড় বড় স্টিমার, লঞ্চ, কার্গো পোড়াবাড়িতে নোঙ্গর ফেলত। সমাজের নানা ধরনের লোকজনের আনাগোনার ছিল এই ঘাটে। বড় বড় রাজা-বাদশা, জমিদার, পাইকপেয়াদা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবারই পোড়াবাড়ির চমচমের প্রতি ছিল আকর্ষণ। তাই সব মিলিয়ে চমচমেরআদি ভূমি বাংলাদেশের পোড়াবাড়ি, এ দাবি করাই যায়।

গবেষকদের মতে, দশরথ গৌড় নামে এক ব্যক্তি বৃটিশ আমলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর তীরবর্তী পোড়াবাড়িতে আসেন। আসাম থেকে আগত এই দশরথ গৌড় যমুনার সুস্বাদু মৃদুপানি ও এখানকার খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে প্রথম চমচম তৈরি করেন। অতঃপর এখানে ব্যবসা শুরু করেন।
তখন পোড়াবাড়ি টাঙ্গাইলের অন্যতম নদী বন্দর ছিলো। ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে মোঘল সুবেদার ইসলাম খাঁ হযরত শাহ জামানকে আতিয়া পরগনার শাসক নিযুক্ত করলে তিনিই পোড়াবাড়ি গ্রামকে নদী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলেন। সেই সময়কালে ধলেশ্বরীর পশ্চিম তীরে গড়ে উঠে ছিলো জমজমাট ব্যবসা কেন্দ্র পোড়াবাড়ি বাজার। তখন পোড়াবাড়ি ঘাটে ভিড়তো বড় বড় সওদাগরী নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার। ক্রমে ক্রমে পোড়াবাড়ি যখন জন সমাগমে প্রাণ চঞ্চলতায় ভরপুর। তখনই এখানে সুস্বাদু চমচম অর্থাৎ মিষ্টি শিল্প গড়ে ওঠে।
মিষ্টির জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এই চমচমের বাইরেরটা দেখতে পোড়া ইটের মতো। মূলত এলাকার নাম এবং দেখতে পোড়া ইটের মত বলেই এই চমচম-এর আগে পোড়াবাড়ি শব্দটি যুক্ত হয় ।

◆ নামঃ টাঙ্গাইল জেলার পোড়াবাড়ির বিখ্যাত চমচম।

◆ দামঃ ৩৬০ টাকা।
◆ ডেলিভারিঃ সোমবার।
◆ ওজনঃ ১ কেজি।
◆ পেমেন্টঃ ক্যাশ অন ডেলিভারি।
◆ ডেলিভারি চার্জঃ ফ্রী।
◆ অর্ডারের শেষ সময়ঃ রবিবার সন্ধ্যা।

■ অর্ডারের নিয়মঃ
◆ ওয়েবসাইটঃ

আপনি আপনার পছন্দের মিষ্টি View করুন এরপর ভালোভাবে পণ্যর বিস্তারিত পড়ে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণ Select করে Add to cart লেখাতে ক্লিক করুন তারপর View cart এ গিয়ে ভালোভাবে আপনার পণ্যের সবকিছু পর্যবেক্ষন করে Proceed to checkout বাটনে ক্লিক করুন এরপর সম্পুর্ণ ফর্ম টি আপনার তথ্য দিয়ে তা যাচাই করে PLACE ORDER বাটনে ক্লিক করুন।

কিভাবে যাবেন

টাঙ্গাইল জেলা পোড়াবাড়ি

অবস্থান

টাঙ্গাইল জেলা পোড়াবাড়ি

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 6, 2018

ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি – টাঙ্গাইল, সম্পর্কে পর্যটকদের রিভিউ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.