জয়পুর রিসোর্ট (Joypur Resort) বা শিশু উদ্যান (Shisu Uddan) জয়পুরহাট শহর থেকে এক কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম কোনে বুলু পাড়ায় অবস্থিত। রিসোর্ট এর পাশাপাশি এখানে আছে শিশু এবং বুড়োদের জন্য একটি শিশু উদ্যান । জয়পুরহাটের মত ছোট্ট একটি জেলায় এত সুন্দর একটা শিশু পার্ক আছে না দেখলে বুঝা যাবে না । বড়, ছোট সব বয়সী মানুষের জন্য সামান্য একটু নির্মল বিনোদন দেওয়ায় মূল উদ্দেশ্য।
প্রকৃতি প্রেমী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (প্রিন্স) তার পৌত্রিক ৬০ বিঘা জমির উপর গড়ে তুলেছেন এই পার্কটি । বড়, ছোট সব বয়সী মানুষের জন্য সামান্য একটু নির্মল বিনোদন দেওয়ায় মূল উদ্দেশ্য। এই শিশু উদ্যানটিতে সময় কাটানোর বেশ ভাল ব্যবস্থা রয়েছে । সুন্দর সাজানো গোছানো এই শিশু উদ্যানে রয়েছে বিশাল আকৃতির দুটি লেক, এতে প্যাডেল বোটে ঘুরে বেড়াতে পারেন দর্শনার্থীরা।
সেখানে আদিম যুগের মানুষের বসবাস সমপর্কে ধারণা দেয়ার জন্য ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে, যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম হাতি, ঘোড়া, বাঘ, ভালুক, জলহস্তিসহ বিভিন্ন প্রাণি শিশুদের তো বটেই, বড়দেরও কৌতূহল মেটাবে। উদ্যানে ছোট পরিসরে একটি আমবাগান রয়েছে। এখানে সাজিয়ে রাখা আছে স্বনামখ্যাত বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিকদের ভাস্কর্য।
শিশুদের মনোহারি খেলনার জন্য রয়েছে নাগড়দোলা, চড়কি, টয়ট্রেন, সুইমিং পুল ও দোলনাসহ বিভিন্ন রাইড। এছাড়াও রয়েছে ক্লান্ত পথিকের জন্য খড়ের তৈরি ছোট ছোট ঘর, বাংলার চিরাচরিত বর্শি কিংবা পলুই দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য। এখানে আসা বিনোদন প্রেমীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় প্রচন্ড রোদে ফেটে যাওয়া ধানের ক্ষেতে জাত দিয়ে পানি দেওয়ার অপরূপ দৃশ্য এবং ভোর বেলা লাঙ্গল-জোয়াল কাঁধে নিয়ে কর্ম ব্যস্ত কৃষকের মাঠে যাওয়ার দৃশ্যের স্থাপনার সামনে।
উদ্যানের ৬০ বিঘার পুরো জায়গা ঘুরে কোন দর্শনার্থী যদি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তার বিষ্নতা দূর করতে রয়েছে মনোরম পরিবেশে চা কিংবা কফি পানের সুবিধা।
পিকনিক করতে চাইলে তার জন্য নির্দিষ্ট ফি দিয়ে করতে পারবেন ।
কিভাবে যাবেন :
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে জয়পুরহাট শহরে এসে বিন্দু পাচুর মোড় থেকে অটোরিক্সা বা রিক্সায় শিশু উদ্যানে যাওয়া যাবে। ভাড়া ১০-১৫ টাকা।