জেলা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ির(Rayerkathi Zamidar Bari) অবস্থান। প্রায় তিনশত পঞ্চাশ বছরের পুরোনো এই বাড়িতে রয়েছে হয় রাজভবন, নহবৎখানা, অতিথিশালা, নাট্যশালা সহ অসংখ্য মন্দির। এখানে ছোট বড় প্রায় দু’শ অট্টালিকা ছিলো। তন্মধ্যে ৪০ বা ৫০টি গগণচুম্বী অট্টালিকা রাজবাড়ির শোভাবর্ধন করতো। জমিদার বাড়িতে ১৬৫৮ সালে কালিমন্দির নির্মাণ করা হয়। এখানে রয়েছে প্রায় ২৫ মন ওজনের শিব লিঙ্গ। এটি উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ শিবলিঙ্গ। বর্তমানে ভাল এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত মিলিয়ে ৭ টির মত ভবন এখনো প্রচীন এ সভ্যতার সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে।
অবস্থান:পিরোজপুর সদর, পিরোজপুর।
যে ভাবে যাবেনঃ
দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে সরক বা নদী পথে আপনাকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা সদরে আসতে হবে। তার পর সেখান থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে রায়েরকাঠী জমিদার বাড়ির অবস্থান।
ঢাকা হতে সড়ক ও নৌ উভয় পথেই পিরোজপুর যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন পরিবহন সকাল এবং রাতে উভয় সময় ছেড়ে যায়। সাকুরা পরিবহন(০২-৮০২১১৮৪) গাবতলী থেকে সকাল সোয়া ন টায়, এবং রাত পৌনে ১০টায় ছেড়ে যায়। গাবতলী বাস স্টাণ্ড থেকে ঈগল পরিবহন(০১৭১২৫৪৩৯০৭) এর দুটিও বাসও প্রতিদিন সকাল এবং রাতে পিরোজপুরে যায়। অন্যদিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্টাণ্ড থেকে দোলা পরিবহন(০১৭৩৯৬১২২৯৯), বনফুল পরিবহন, হামিম পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি পরিবহন ঢাকা পিরোজপুর রুটে চলাচল করে। আপনি চাইলে নদী পথেও পিরোজপুর যেতে পারেন। ঢাকার সদরঘাট নদীবন্দর থেকে পতিদিন রাজদুত/পারাবাত(লঞ্চ) সদর ঘাট সন্ধ্যা ৭টা, স্টীমার অস্ট্রি্চ সদর ঘাট রাত ৯টা পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
কোথায় থাকবেন:
পিরোজপুরে রাত্রি যাপন ব্যবস্থা খুব ভাল না। তবে এখানে মোটামুটি মানের কিছু আবাসিক হোটেল আছে। পিরোজপুর সদরে হোটেল রজনী(০১৭১২৫৬২২৪১), হোটেল রিল্যাক্স(০৪৬১-৬২৮০৭), হোটেল ডালাস(০৪৬১-৬২৮৫৫), হোটেল অবকাশ(০৪৬১-৬২৩৩৩), হোটেল সিনথিয়া(০৪৬১-৬৩২৬২), হোটেল আল গালিভ (মিয়ারহাট বন্দর, নেছারাবাদ), হোটেল শাহ নেওয়াজ (ইন্দেরহাট বন্দর), হোটেল আল মদীনা(০১৭১২৫১৯০০৯) ইন্দেরহাট বন্দর, নেছারাবাদ।
এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় গেষ্টহাউজসহ ছোট বড় ও মানসম্মত আবাসিক হোটেল আছে।