বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরতে আগারগাঁয়ের আইডিবি ভবনের পূর্ব পাশে তেজগাঁও বিমানবন্দর সংলগ্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর (Biman Bahini Jadughar)। এখানে এসে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক বিমান ও হেলিকপ্টারসহ নানা নিদর্শন কাছে থেকে দেখার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা।
বিমান বাহিনী সামরিক জাদুঘরটি মূলত বিভিন্ন সময়ের হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়েই সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ-বলাকাঃ বলাকা বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান। রাশিয়ার তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশে আসে ১৯৫৮ সালে। এয়ার টুওরারঃ ট্রেইনিংয়ে জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের তৈরি এই বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে যোগ হয়। পিটি-৬ঃ ১৯৮৫ সালে চিনের তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়। ফুগাসি এম-১৭০ঃ ফ্রান্সে ১৯৬০ সালে তৈরি করা এই বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে। গ্লাইডারঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ অভিজ্ঞতার জন্য জার্মানির দেওয়া এই বিমানটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৮২ সালে। এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০ঃ কানাডার তৈরি এই বোমারু বিমানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করে। হান্টার বিমানঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে ভূমি শত্রু থেকে রক্ষা করতে এই বিমানটি ব্যবহার করে। ভারতীয় বিমানবাহিনী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে এই বিমানটি উপহার দেয়।
বিমান বাহিনীর সরঞ্জাম প্রদর্শনের পাশাপাশি ফুড কোর্ট ও স্যুভেনির শপ আছে জাদুঘরটিতে।
বিমান বাহিনী জাদুঘরের সময়সূচীঃ
বিমান বাহিনী জাদুঘর সোম থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্র থেকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। রবিবার সাপ্তাহিক বন্ধ।২০ টাকা মূল্যের টিকেট সংগ্রহ করে জাদুঘরে প্রবেশ করা যায়। এছারাও ৩০ টাকার টিকেটের বিনিময়ে ভেতরের হেলিকাপ্টার বা বিমানে উঠা যায়।
বিমান বাহিনী জাদুঘর কিভাবে যাবেন
মতিঝিল কিংবা গুলিস্থান থেকে আসতে চাইলে মিরপুর ১০, মিরপুর ১১ অথবা মিরপুর ১২ গামী যে কোন বাসে আগারগাও বললেই নিয়ে আসবে। আবদুল্লাপুর, ইয়ারপোর্ট অথবা মহাখালি দিয়ে আসতে চাইলে মিরপুর, শ্যমলী গামী যে কোন বাসে আগারগাও। আর আগারগাও সিগনাল ও আইডিবি ভবনের পূর্বে এ বিমান বাহিনী জাদুঘর।
যোগাযোগঃ
টেলিফোন::02 8753420
ফ্যাক্স: 02 8751931