বন্দর শাহী মসজিদ(Bandar Shahi Masjid) নারায়ণগঞ্জ জেলার কদম রসুল থেকে প্রায় এক মাইল দক্ষিণ-পূর্বে বন্দর পৌর এলাকায় অবস্থিত। সুলতান জালালুদ্দীন ফতেহ শাহের পদস্থ শাহী কর্মকর্তা মালিক আল-মুয়াজ্জম বাবা সালেহ কর্তৃক ১৪৮২ খ্রিস্টাব্দে (৮৮৬ হিজরি) মসজিদটি নির্মিত হয়।
বর্গাকার এ মসজিদের পরিমাপ অভ্যন্তরভাগে ৬.২০ মিটার এবং বহির্ভাগে ৯.৭০ মিটার। চার কোণে রয়েছে অষ্টভুজাকৃতি মিনার এবং দেয়ালে প্রোথিত কালো পাথরের দুটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত গোলার্ধ আকৃতির বৃহৎ গম্বুজ। এ স্তম্ভ দুটির ভিত বর্গাকার, শীর্ষভাগ কারুকার্যখচিত ও মধ্যভাগ অষ্টভুজাকৃতির। স্তম্ভের শীর্ষভাগে বসানো স্কুইঞ্চের উপর গম্বুজটি স্থাপিত।
গম্বুজের গোড়ার দিকে চারপাশ ঘিরে রয়েছে পদ্মফুল ও কলসের নকশা-বেষ্টনী। শীর্ষভাগ মারলান শোভিত ড্রামের উপর গম্বুজটির স্থাপনা মুগল আমলে মসজিদটির সংস্কারের একটি অংশ বলে মনে হয়। মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথের মধ্যবর্তীটি প্রশস্ততর এবং এটির উচ্চতা ২.২০ মিটার ও চওড়া ১.৩৭ মিটার। দক্ষিণ ও উত্তর দিকে অপর দুটি প্রবেশপথ ২ মিটার উঁচু ও ১ মিটার প্রশস্ত। পার্শ্বের প্রবেশপথগুলো সম্মুখের মধ্যবর্তী প্রবেশপথের সমান আকৃতির। মসজিদটিতে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব আছে। এদের মধ্যবর্তীটি সবচেয়ে বড়। উত্তর পাশের মিহরাব এখন আলমারি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। মসজিদটি পুনর্নির্মিত হয়েছে এবং পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তর দিকে বারান্দা সংযোজন করে এর পরিধি বাড়ানো হয়েছে। মসজিদটি এখন জামে মসজিদরূপে ব্যবহূত হচ্ছে।
কিভাবে যাবেনঃ
নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ঘাট হতে নৌকাযোগে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হয়ে রিক্ষাযোগে বন্দর শাহী মসজিদ যেতে হবে।এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক মুসলিম পুরাকীর্তির নিদর্শণ। জানা যায় হিজরী ৮৮৬ সাল তথা ১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান মাহমুদ শাহ এর পুত্র আবু মুজাফ্ফর আলাউদ্দিন ফতেহ্ শাহ এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।