প্রমত্ত পদ্মা সবসময় শুধু সর্বনাশাই নয়। তার রয়েছে শান্ত, সি্নগ্ধ, মায়াবি আরেক রূপ। রূপসী পদ্মার মনমোহিনী চরগুলোর হৈমন্তী হিমেলের পরশ নিতে ফরিদপুর দর্শনাথিভির জমায় পুরো দিনটিই সেখানে।আন্দদ উল্লাস উপভোগ করেন। জনমানুষহীন পদ্মার এই দ্বীপের কাশবনে ঘণ্টাব্যাপী বিচরণ শেষে পড়ন্তবেলায় আবারও পদ্মার বুকে ভাসেন সুহৃদরা। নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের দুর্গম পদ্মার চরে (৩৮ দাগ নামে পরিচিত গ্রাম) দুপুরের খাবার শেষে বিকেলে বসে সুহৃদদের গান, ছড়া, কবিতা ও কৌতুকের আসর।
পদ্মার পাড়ে খোলা আকাশের নিচে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্মল আনন্দ-কোলাহল শেষে সুহৃদদের নৌবিহার যাত্রা করে গন্তব্যের দিকে। পদ্মার চরে সূর্যাস্ত(Padma Chare Surjasto) দেখে এবং গোধূলির ম্লান আলোয় কর্মব্যস্ত জীবনের প্রত্যহিকতার গ্গ্নানি মুছে ফেলে একটি অন্য রকম দিনের শেষে রাতে সুহৃদ ও তাদের স্বজনরা নিজ নিজ ঘরে ফেরেন আগামীর অনন্ত সুন্দর দিনগুলোর প্রত্যাশায়।
কিভাবে যাবেনঃ
ফরিদপুর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল সরক পথ।
সরক পথে ঢাকা থেকে ফরিদপুর –গাবতুলী থেকে সরাসরি গোল্ডেন লাইন, সাউথ লাইন, সূর্যমূখী বাস গুলা ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে সকাল ৬.৩০ মিনিট থেকে রাত্র ৯.৩০ মিনিট পর্যন্ত ৩০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায়। তাছাড়া গোপালগন্জ, বরিশাল, খুলনা, ও যশোর গামী যে কোন বাসে করে ফরিদপুর যাওয়া যাবে।
তার পর বাসষ্টান্ড থেকে অটোতে করে পদ্মার চরে যাওয়া যাবে। ভাড়া পড়বে ২০ টাকা।