নাগরপুর চৌধুরী বাড়ী – টাংগাইল

প্রায় ৫৪ একর জমির উপর শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত নাগরপুর চৌধুরী বাড়ী  (Nagarpur Chowdhery Bari / Zamidar Bari)  প্রতিষ্ঠা করেন যদুনাথ চৌধুরী। কথিত আছে কলকাতার আদলে নাগরপুরকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এখান থেকেই তিনি জমিদারি পরিচালনা করতেন। রঙ্গমহলের পাশে ছিল সুদৃশ্য চিড়িয়াখানা। সেখানে শোভা পেত- ময়ূর, কাকাতোয়া, হরিণ, ময়না ইত্যাদি।

গোটা জমিদার বাড়িকে আসলে ছোটখাটো একটা নগর মনে হয়। বাড়িতে ঘরের সংখ্যা অনেক। কোনোটা নায়েবদের জন্য, কোনোটা চাকরবাকরদের, কোনোটা বা আশ্রিতদের জন্য। অতিথিমহলও ছিল আলাদা।

বাড়ির অভ্যন্তরের পুরো কাজ সুদৃশ্য শ্বেত পাথরে গড়া। রয়েছে ঘোড়ার দালান, পরীর দালান, রংমহল। চারতলা বিশিষ্ট মুল দালানটি সবচাইতে বড়। পশ্চিম দিকে আছে ঘোড়ার দালান যা তিন তলা উঁচু। বাড়ির একেবারে দক্ষিণে রয়েছে ১১ একর জমির ওপর একটি বিরাট দিঘি।

ঘোড়ার দালান – জমিদারী পরিচালনা এবং বাবসায়িক প্রয়োজনে চৌধুরীবাড়ীতে সুঠাম সুদৃশ্য ঘোড়া পোষা হত। আর এই ঘোড়া এবং তার তদারকীতে নিয়োজিতদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয় শৈল্পিক কারুকাজ খচিত এই স্থাপনা। যা জমিদারদের ঘোড়ার দালান হিসাবে পরিচিত।

জমিদার সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী এলাকায় স্কুল, কলেজ, মন্দির, দাতব্য চিকিৎসালয়, খেলার মাঠ ও অনেক হাটবাজার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বৃটিশ সরকার  তাকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্যে সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘রায় বাহাদুর’ খেতাবে ভূষিত করে।

দেশভাগের পরপর সতীশ চন্দ্র পরিবারসহ ভারতে চলে যান।

কিভাবে যাওয়া যায়:

টাংগাইল হতে সিএনজি যোগে নাগরপুর চৌধুরী বাড়ী।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 6, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.