একগম্বুজ বিশিষ্ট মধ্যযুগীয় এই মসজিদটি জিন্দাপীর মাজার কমপ্লেক্সের উত্তর-পশ্চিম কোনায় অবস্থিত। এই মসজিদের চারপাশের চারটি গোলাকার বুরুজ রয়েছে। মসজিদের দেয়ালগুলো গড়ে ১.৫২মিঃ পুরু। পূর্ব বাহুতে ৩টি, উত্তর ও দক্ষিণ বাহুতে একটি করে খিলান দরজা আছে। সামনের বাহুতে আছে তিনটি মেহরাব। ভাঙা অবস্থায় থাকা ছাদের অর্ধগোলাকার গম্বুজটি ২০০২ সালে সংস্কার করা হয়।তবে, মেরামতের সময় মসজিদটি এটির প্রাচীনতা অনেকাংশেই হারিয়েছে। স্থানীয়রা মনে করেন একজন বুজুর্গ ব্যাক্তি এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন যিনি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা অবস্থায় একদিন অদৃশ্য হয়ে যান। একারণে মনে করা হয়ে থাকে যে ঐ ব্যাক্তি এখনও জীবিত আছেন আর তাই তাঁকে জিন্দা পীর বলা হয় এবং মসজিদটিকে বলা হয় জিন্দা পীরের মসজিদ(Zinda Pir Mosjid)। ইংরেজিতে জিন্দা পীরের অর্থ জীবন্ত পবিত্র ব্যাক্তি। এই গল্পটির কোন বিশ্বাসযোগ্য সূত্র নেই তবে স্থানীয়রা এমনটাই বিশ্বাস করে থাকে। মসজিদের প্রাঙ্গনে বেশকিছু পুরাতন কবর রয়েছে তবে কোন নামফলক না থাকায় এসব কবর সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিছু জানা যায়নি। মসজিদের কাছে একটি মাজারও আছে যেখানে প্রচুর মানুষ প্রার্থনা করে থাকে।
কিভাবে যাবেন
খান জাহান আলী মাজারের পশ্চিমে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথ পেরুলেই এই মসজিদে পৌঁছে যাবেন। মসজিদটির জিপিএস অবস্থান হল (২২°৩৯’৪২.৫৪”উ,৮৯°৪৫’১৪.৪৭”পু)।