৪৫০ কিলোমিটার আয়তনের শ্রীমঙ্গলকে বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী বলা যেতে পারে। এখানকার বেশকিছু চা বাগানের নজরকাড়া সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে চলেছে। এখানকার মাইলের পর মাইল বিস্তৃত চা বাগান দেখে মনে হবে যেন পাহাড়ের ঢালে সবুজ গালিচা বিছানো রয়েছে। দেশের সবচেয়ে উন্নতমানের চা এখানেই উৎপন্ন হয়ে থাকে।
চা বাগান(Cha Bagan) থেকে উৎপাদিত চায়ের মাধ্যমে সিলেট এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছে। এই চা বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করছে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা। সুরমা অববাহিকা তথা সিলেটের আশেপাশের সব এলাকাই চা বাগানে আবৃত আর এ কারনেই চা বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় সম্পদ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মোট ১৬৩ টি চা বাগানের মধ্যে ৩ টি বৃহত্তম চা বাগান রয়েছে যেগুলো থেকে চা উৎপাদনের পরিমান উল্ল্যেখ করার মত। এই ১৬৩ চা বাগানে প্রায় তিন লক্ষ শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে থাকে যাদের মধ্যে ৭৫% শ্রমিক হল মহিলা এবং ২৫% শ্রমিক হল পুরুষ। চা বাগানগুলোতে মহিলা ও আদিবাসী শ্রমিকদের কদর বেশী কারন গাছ থেকে চা পাতা তোলার কাজটি পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই ভাল করে থাকেন।
সিলেটের চা বাগানের ভ্রমন যে কারো জন্যই হবে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। এই চা বাগানগুলো ইংরেজ রাজদের শাসনকালের স্মৃতি বহন করছে। ইংরেজরাই এখানে চা চাষের সূচনা করেছিল এবং সেই সময়ের মতো আজও চা বাগানের ম্যানেজারেরা কাঠের তৈরি সাদা রঙের ভবনে বাস করেন। চা বাগানের বাংলোগুলো চমৎকার করে সাজানো বিশাল বাগানের ওপর অবস্থিত। চা বাগানের জীবন যাত্রাও রয়েছে অনেকটা ইংরেজ আমলের মতই।