গুরুদুয়ারা নানকশাহী – ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাম্পাসের কলাভবনের পাশে ঢাকার গুরুদুয়ারা নানকশাহী(Gurdwara Nanak Shahi) অবস্থিত। গুরুদুয়ারা হচ্ছে  শিখ ধর্মের উপাসনালয়। শুধু ধর্মীয় বিবেচনায় নয়, ঐতিহাসিকভাবেও গুরুদুয়ারা নানকশাহীর গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশে বিদ্যমান সাতটি গুরুদুয়ারার মধ্যে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। মুক্তিযুদ্ধসহ এ অঞ্চলের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনারও সাক্ষী এ ভবন।

প্রতি সপ্তাহেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে শিখ ধর্মের অনুসারীরা এখানে জমায়েত হয় এবং প্রার্থনা করে। দেশে শিখদের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয় এখানেই।

 

উঁচু প্রাচীরবেষ্টিত গুরুদুয়ারা নানকশাহীর বর্তমান প্রবেশপথটি রয়েছে দক্ষিণদিকে। উপাসনালয়টির সামনে রয়েছে চমৎকার সবুজ লন। এর বাম দিকে আছে শিখ রিসার্চ সেন্টার, ডানদিকে দোতলা দরবার হল। সামনে পতাকা টাঙানোর স্ট্যান্ড, বৈশিষ্ট্যময় এই উপাসনালয়টি শিখদের নিজস্ব স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত। উপাসনালয়টির ওপর পৃথিবী আকৃতির একটি কাঠামো নির্মিত। তার চারদিকে শিখ ধর্মীয় চিহ্ন খাণ্ডা শোভিত। উপাসনালয়ের শীর্ষে রয়েছে ছাত্রার। এটি শিখদের উপাসনালয়ের চিহ্ন। গুরুদুয়ারা নানকশাহীর ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি বড় কক্ষ। এই কক্ষের চারদিকে চারটি দরজা আছে। মাঝখানে কাঠের তৈরি বেদির ওপর রয়েছে শিখ ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থসাহেব। বেদির সামনে নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুর সিংয়ের ব্যবহূত একজোড়া খড়ম একটি কাচের বাক্সের মধ্যে যত্নসহকারে রাখা আছে। এ কক্ষের মেঝেতে লাল রঙের কার্পেট পাতা আছে। তাতে ভক্তরা বসে গ্রন্থসাহেব পাঠ শোনেন। কক্ষের চারদিকে বারান্দা আছে।

 

যেভাবে যাবেনঃ

ঢাকার গুলিস্তান অথবা শাহাবাগ হতে রিকশা করে খুব সহজেই গুরুদুয়ারা নানকশাহী যাওয়া যাবে।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 7, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.