ঝালকাঠি জেলার সদর থেকে ৪/৫ কিঃমিঃ উত্তর পশ্চিম দিকে রাজাপুর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রাচীনতম জনপদের নিদর্শন কীর্তিপাশার জমিদার বাড়ি (Kirtipasha Zamindar Bari)। কালের বিবর্তনে জমিদারী প্রথা আজ ইতিহাস হলেও এক সময় এই জমিদার বাড়িটি কেন্দ্র করেই অত্র এলাকার সমস্ত কার্যক্রম সম্পাদিত হতো।
রাজা কীর্তি নারায়ণের নাম অনুসারে কীর্তিপাশা। প্রায় একশতক বছর আগে রামজীবণ সেন কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ীর প্রতিষ্ঠা করেন।জমিদার কীর্তিপাশা, রামজীবন সেন এবং রাজা কীর্তি নারায়নের নামে প্রাসাদটির নামকরন করেন। এ বংশের সমত্মান রোহিনী রায় চৌধুরী ও তপন রায় চৌধুরী দুটি উজ্জবল নক্ষত্র।
গাবখান নদীর তীরে স্টীমার ঘাট রোহিনী গঞ্জ রোহিনী রায় চৌধুরীর অবদান। সেই সাথে ইতিহাস গ্রন্থ বাকলা কীর্তিপাশায় আছে হাসপাতাল যা ঝালকাঠি থানা সদরে (জেলা সদর) হাসপাতালের চেয়েও পুরাতন।
শতবর্ষের পুরাতন প্রসন্নকুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্বমহিমায় মুল জমিদার বাড়ী এবং দূর্গামন্দির এখন পরিত্যাক্ত হয়ে আগাছা পূর্ণ হয়ে আছে। নাট্যশালার চিহ্ন রয়েছে এখনো। মঞ্চের গ্রিনরম্নম এবং হলরম্নমে পূনর্বাসিত হয়ে কমলিকান্দর নবীনচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়।
জানা যায়, এই জমিদার বাড়ির জমিদারপুত্রকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়। এবং তার স্ত্রীও তার সাথে সহমৃত্যুবরণ করেন। পরে তাদেরকে একসাথে সমাধি করা হয়। সতিদাহ প্রথার চিহ্ন একটি সহমরণ সমাধির চিহ্ন আছে এখনও।
রোহিনী রায় চৌধুরীর সমাধিটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। পারিবারিক শিব মন্দির এবং একটি শিব মুর্তি আছে এখনো। জমিদারদের ব্যবহ্নত টেবিল আছে বাকলাই বাড়িতে। তবে, মূল জমিদার বাড়ি ও দূর্গামন্দির লতা-পাতা, জঙ্গলে জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে লঞ্চ কিংবা বাসে করে ঝালকাঠি শহর। তারপর, ঝালকাঠি সদর থেকে ৪/৫ কিঃমিঃ উত্তর পশ্চিম দিকে রাজাপুর উপজেলার কীর্তিপাশা গ্রামে অবস্থিত কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি।