ভ্রমণের সময় গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজন কিছু বাড়তি সতর্কতার। বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন না করলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে। সেই সঙ্গে গর্ভবতী নারীরও শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জেনে নিন গর্ভবতী নারীর ভ্রমণের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত সেই সম্পর্কে।
১) পাবলিক ট্রান্সপোর্ট না হলে গর্ভবতী নারীর উচিত ড্রাইভারকে ধীরে চালাতে বলে দেয়া। কারণ ভাঙা রাস্তায় জোড়ে গাড়ি চালালে গর্ভবতী নারীর সমস্যা হতে পারে।
২) ভ্রমণের সময় গর্ভবতী নারীদের উচিত জরুরী মেডিকেল কাগজপত্র সঙ্গে রাখা। তাহলে বিপদের সময়ে প্রয়োজনে সেগুলো কাজে লাগানো যাবে।
৩) ভ্রমণের সময়ে অবশ্যই জরুরি ওষুধ ও পানি নিয়ে নিতে হবে সাথে। ফুটানো পানির বেশ কিছু বোতল সঙ্গে রাখা জরুরি।
৪) ভ্রমণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের রোজা না রাখাই ভালো। কারণ এই সময়ে ঘন ঘন পানি না খেলে শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে।
৫) বাইরের খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত না গর্ভবতী নারীদের। বাসা থেকেই শুকনো খাবার নিয়ে আসা উচিত সঙ্গে করে। বাইরের খাবার খেলে ফুডপয়জনিং হওয়ার ঝুঁকি থাকে যা গর্ভাবস্থায় খুবই ঝুঁকি পূর্ণ।
৬) বাসের একদম পেছনের দিকের সিট কিংবা ট্রেনের একেবারে পেছনের দিকের বগিতে অনেক বেশি ঝাঁকি অনুভূত হয়। তাই গর্ভবতী নারীদের উচিত টিকেট করার সময়ে নিজের অসুবিধার কথা জানিয়ে সামনের দিকের সিট নির্বাচন করা।
৭) গর্ভাবস্থায় অনেকক্ষণ একস্থানে বসে থাকতে থাকতে পায়ে পানি এসে পা ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ একস্থানে বসে থাকলে রক্তচলাচল কমে যায়। তাই সম্ভব হলে যাত্রা বিরতিতে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করে নিন। এতে রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
৮) গর্ভাবস্থায় মোটর সাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়া একেবারেই উচিত না। তাই গর্ভাবস্তায় টু হুইলের যানবাহনে ভ্রমন করার ঝুঁকি নিবেন না একদমই।
৯) সবচাইতে জরুরি বিষয় হলো গর্ভাবস্থায় ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন। ঈদে বাড়ি যাওয়ার ঝোঁকে নিজের কিংবা ভবিষ্যৎ সন্তানের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা একদমই উচিত হবে না।