কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের হয়রানী রোধে কিটকট, ফটোগ্রাফার ও জেট স্কী কর্মীদের নির্দিষ্ট পোষাক দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর তাই এখন থেকে এই সমস্যার সমাধান থাকবে তাদের গায়ের পোশাকেই।
তাই ট্যুরিস্ট ভাইয়া/ আপুরা এবার আপনাদের সচেতন হবার পালা।
- প্রথমত ড্রেস ছাড়া কারো কাছে সার্ভিস নিবেন না।
- আর ড্রেস পড়া কেউ হয়রানী করলে তার গায়ে লেখা নাম্বারে (01769-690 734 কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্পলাইন) সাথে সাথে অভিযোগ জানাবেন।
মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যার সমাধানে আপনি আমি যদি এগিয়ে না আসি পুলিশের পক্ষে একা তার সমাধান করা সম্ভব না। তাই সবাই সচেতন হই প্রতিবাদ ও অভিযোগ করি বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্পলাইনে। সমাধানে এগিয়ে আসবে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাও ১০ মিনিটের মধ্যে।
পোষাকগুলোতে সামনের অংশে কিটকট, ফটোগ্রাফার ও জেট স্কীর নির্ধারিত মূল্য লেখা থাকবে। পেছনে লেখা থাকবে ট্যুরিষ্ট পুলিশের হেল্প ডেস্কের নাম্বার। কোন পর্যটক হয়রানীর শিকার হলে ওই নাম্বারে কল করলে ১০ মিনিটের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেকটা পোষাকে নাম্বারিং করা থাকবে। এতে ওই কর্মীকে সহজে সনাক্ত করা যাবে।
সমুদ্র সৈকতে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হয়ে আসছিল আগত পর্যটকরা। কিটকট, বীচ বাইক ও ফটোগ্রাফাররা যা ইচ্ছা তাই করত। অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিত পর্যটকদের কাছ থেকে। তাদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের অহরহ অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র এসপি হোসাইন মো: রায়হান কাজেমী।
তিনি জানান, পর্যটকদের কোন ধরনের হয়রানী করতে যেন না পারে সেইজন্য তাদের পোষাকে নির্দিষ্ট মূল্যসহ নির্ধারন করা হয়েছে। ফটোগ্রাফারদের পোষাকের কালার লাল, কিটকট কর্মীদের সবুজ ও বীচ-বাইক কর্মীদের কমলা কালারের পোষাক দেয়া হবে। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পোষাক হস্তান্তর করা হবে। তিনি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।