ছুটি রিসোর্ট – গাজীপুর

প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষে গ্রামীণ আবহে অবকাশ যাপনের উপযোগী করে তৈরি করা দৃষ্টিনন্দন একটি রিসোর্ট ছুটি রিসোর্ট (Chuti Resort & Picnic Spot)। ভাওয়াল রাজবাড়ী থেকে ৩ কি.মি দূরে গাজীপুরে সুকুন্দি গ্রামে  ছুটি রিসোর্টের অবস্থান।

দিনের বেলায় ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমেন্টন, ক্যারাম কিংবা টেবিল টেনিস খেলে যখন আপনি ক্লান্ত তখন  সুনিরিড় ছাড়া ঘেরা লেকের পাশে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে প্যডেল বোটিং। চাইলে আপনার সঙ্গীর সাথে পাল্লা দিয়ে সেরে ফেলতে পারেন একটি নৌকা দৌড় প্রতিযোগীতা কিংবা লেকের  মাঝে নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়ানোর কাজ। এতা কিছু বিনোদনের পরে শুইমিং পুলের শীতল পরশ আপনাকে দেবে সতেজ অনুভুতি ও স্নিগ্ধতা।

ছুটি রিসোর্টিই বিষমুক্ত সবজী, পুকুরের তাজা মাছের সাথে দেশী বিদেশী নানা খাবার দিয়ে সেরে নিতে পারেন দুপুরের খাবার। হাল্কা কিছু বিশ্রাম নিয়ে হাতে বড়শী নিয়ে চলে আসুন লেকে। আর ভাগ্যক্রমে যদি একটি মাছ লেগেই যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই। ও হা ওদিকে ছুটি রিসোর্টের বিশেষেআকর্ষন ঘোড়া অপেক্ষা করছে আপনাের জন্য । তাহলে আর দেরী কেন চলুন ঘোড়া নিয়ে  ভাওয়াল জমিদারের মত বেড়িয়ে পড়া যাক।

এরমাঝে যারা ছোটদের বিনোদনের কথা ভাবছেন তাদের ভাবনার পালা শেষ। কারন ছুটি রিসোর্টে ছোটদের বিনোদনের জন্য রয়েছে কিডস জোন, মিনি চিরিয়াখানা সহ আরো অনেক কিছু।

বিভিন্ন প্রকার পাখির কলরব, শিয়ালের হাঁক, জোনাকি পোকার মিছিল ও আতশবাজি, ঝিঁঝিঁ পোকার হৈচৈ মধ্য দিয়ে হবে গোধুলীর অপেক্ষার অবসান। নেমে আসবে ময়াবী রাত।ছুটি রিসোর্টের নিয়ম অনুসারে চাঁদনী রাতে বিদ্যুতের আলো জ্বালানো হয় না। ভরা পূর্ণিমা, রিমঝিম বর্ষা কিংবা শাতের সকাল উপভোগ করার জন্য ছুটি রিসোর্টের বিকল্প খুব কমই আছে। এখানে আগত দর্শনার্থীদের নানা ধরনের মৌসুমি ফল সম্পূর্ণ ফ্রি দেওয়া হয়। অতিথিদের জন্য এখানে সকালে পরিবেশন করা হয় চালের নরম রুটি অথবা চিতই পিঠা, সঙ্গে দেশি নানা প্রকার সবজি, ডাল ভুনা ও মুরগির গোশত।

ছুটি রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা ও খরচ –

যেহুতো রাত চলে এসেছে তাই তার সাথে চলে আসে থাকার ব্যবস্থা । ছুটি রিসোর্টটিতে বিভিন্ন ধরনের কটেজ রয়েছে যেমন – কাঠের কটেজ, ফ্যমিলি কটেজ, প্রিমিয়াম কটেজ, সেমি প্রিমিয়াম কটেজ ও রয়েল কটেজ। আরো আছে ডরমিটরি যেখানে জনপ্রতি সিট ভাড়া এক হাজার টাকা।

কটেজগুলো ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। কনফারেন্স রুম ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং পিকনিকের জন্য ১০০ থেকে ২০০ জনের ভাড়া ৯০ হাজার টাকা।

  • ফ্যামিলি কটেজ ২টি এসি রুম ও অন্যান্য সুবিধা- ১৪,০০০ টাকা, ভ্যাট ওসার্ভিস চার্জসজ ১৭৭,১০ টাকা।
  • প্লাটিনাম কিং কটেজ – ৮,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ১০,১২০ টাকা।
  • ডিলাক্স টুইন কটেজ – কটেজ: ৬,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ৭,৫৯০ টাকা।
  • প্রিমিয়াম টুইন কটেজ – ৭,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ৮,৮৫৫ টাকা।
  • প্রিমিয়াম ডিলাক্স ভিলা – ৯,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ১১,৩৮৫ টাকা।
  • এক্সিকিউটিভ স্যুট – ১৩,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ১৬,৪৪৫ টাকা।
  • রয়েল স্যুট – ১৭,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ২১,৫০৫০ টাকা।
  • ডুপ্লেক্স ভিলা – ৬,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ৭,৫৯০ টাকা।
  • উডেন কটেজ – ৪,৫০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ৫৬৯৩ টাকা।
  • ভাওয়াল কটেজ – ৮,০০০ টাকা, ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জসহ ১০,১২০ টাকা।

খাওয়াসহ সারা দিনের জন্য জনপ্রতি ১২০০ টাকা। সঙ্গে বিনা মূল্যে রয়েছে বোটিং, ফিশিং ও সাইট সিয়িং।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ- ০১৭৭৭ ১১৪ ৪৮৮, ০১৭৭৭ ১১৪ ৪৯৯ অথবা ভিজিট করুন ছুটি রিসোর্টের নিজেস্ব ওয়েবসাইট http://www.chutiresort.com/

ছুটি রিসোর্টে কিভাবে যাবেন  –

ঢাকার গুলিস্তান অথবা  মহাখালী থেকে বিআরটিসি কিংবা অন্য যেকোনো বাসে গাজীপুর শহর। সেখান থেকে রিকশায় তিন কিলোমিটার আমতলী বাজার।  আমতলী বাজারের পাশেই ছুটি রিসোর্ট ও পিকনিক কর্নার।

অথবা, প্রথমে গাজীপুরের চৌরাস্তায় আসতে হবে। সেখান থেকে নিজস্ব পরিবহন বা যাত্রীবাহী বাসে করে গাজীপুর ডিসি অফিসের সামনে (রাজবাড়ী) চলে যান। সেখান থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার পূর্বে আমতলী বাজার থেকে একটু উত্তরে সুকুন্দি ছুটি রিসোর্টের অবস্থান।

 

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: অক্টোবর 2, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.