বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার বাকলাই পাড়ায় অবস্থিত চমৎকার এই বাকলাই ঝর্ণা (Baklai Waterfall) সম্ভবত দেশের সবচেয়ে উঁচু ঝর্ণা। বান্দরবানের পাহাড়ের গভীরে বাকলাই গ্রামে থেকে ২ কিমি. এর মধ্যে অবস্থিত এই ঝর্ণাটি প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু। কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং যাওয়ার পথে এ ঝর্নাটির অপরুপ নিদর্শন নিয়ে যেতে পারেন। যাওয়ার পথে পাহাড়ি ছোট ছোট নদী যেমন নজর কাড়বে তেমনি নয়নাভিরাম বাকলাই ঝর্না দেখে আপনি হবেন বিমোহিত।
বহু বছর ধরে ট্রেকারদের ক্যাম্পিং এর জন্য সুপরিচিত এই বাকলাই এর কাছেই আর্মি ক্যাম্প আছে, যা অভিযাত্রীদের জন্য নিরাপদ স্থান।অসাধারণ রুপে আচ্ছাদিত এই মোহনীয় ঝর্ণাটি দেখতে হলে আপনাকে হাতে পাঁচ থেকে সাতদিন সময় হাতে রাখতে হবে। তবে আপনার হাঁটার উপর নির্ভর করবে কত সময় লাগবে। থানচি এবং রুমা থেকে এই ঝর্ণাটি দেখতে যেতে পারবেন।
পথ নির্দেশিকাঃ বান্দরবন > রুমা বাজার > বগালেক > কেওক্রাডং > জাদিপাই ঝর্ণা > বাকলাই।
কীভাবে যাবেন :
বাকলাই ঝর্ণা থানচিতে অবস্থিত হওয়ায় আপনাকে প্রথমেই বান্দরবানে পৌঁছাতে হবে। ঢাকা বাদে অন্য জেলা থেকে সরাসরি বান্দরবান বাস নাও থাকতে পারে। তখন আগে চট্টগ্রাম এসে এর পরে বান্দরবান যেতে হবে। নন এসি বাসে ভ্রমণ করলে ঢাকা থেকে বান্দরবানে যেতে খরচ হবে প্রায় ৬২০/- টাকা। এসব বাস সাধারণত রাতের বেলা ছেড়ে যায় তবে অন্য সময়েও বাসও আছে। ঢাকা থেকে সড়কপথে বান্দরবানে যেতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগবে। বাসের জন্য শ্যমলী, ইউনিক, ডলফিন, সাউদিয়া ইত্যাদি কোম্পানীর বাস পাবেন।
বান্দরবান থেকে বাস অথবা চান্দের গাড়িতে করে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টায় প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থানচিতে পৌঁছাতে পারবেন। থানচি বাজার থেকে বাকলাই ঝর্ণায় যেতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে এবং এসময় আপনাকে বেশকিছু পাড়া অতিক্রম করতে হবে যেমনঃ টুটংপাড়া, বোর্ডিং হেডম্যানপাড়া, কাইতনপাড়া ইত্যাদি। যাবার সময় পথের ভিন্নতা ভেদে আপনি পেতে পারেন বাকলাই ঝিরি ও মাঝে বেশ কিছু ছোট-মাঝারী আকারের ঝর্ণা। সেগুলো পার হয়ে পৌছবেন বাকলাই ঝর্ণার পাদদেশে, সেখানে দাঁড়াতে পারেন, পানিতে ডুব দিতে পারেন অথবা ঝর্ণার উপরে উঠতে পারেন। উঠতে চাইলে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগবে।