কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পাশে কেন্দ্রীয় কারাগারের পশ্চিমে থাকা জলাশয়টিতে ভিড় করেছে অতিথি পাখি।
প্রতিদিন এখানে দেখা যায় পাখিদের ঝাঁক। নগরীর ইট-পাথরের ইমারতের মাঝেই যেন পাখিদের অভয়াশ্রম। প্রতিদিন সকালে পরিযায়ী পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয় অধিবাসীর। দিনভর পাখিগুলো এ জলাশয়ের পানিতে খাবারের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে।
জলাশয়ের আশ-পাশের বিভিন্ন গাছের ওপর দিয়ে পাখিগুলো দল বেঁধে যখন উড়তে থাকে তখন প্রকৃতিতে যেন প্রাণের স্পন্দন জেগে উঠে! কিছু পাখি গাছে ডালে, ডাঙ্গায় ও কচুরিপনার উপরও অবস্থান নিয়েছে। অতিথি পাখির মনোমুগ্ধকর কলকাকলি দেখার জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।
সকাল হতে না হতেই অতিথি পাখি দেখার জন্য ছুটে আসেন পাখিপ্রেমীরা। মানুষের সাড়া পেলেই দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে নিরাপদ দূরত্বে উড়ে যায় পাখিগুলো। আশ্রয় নেয় পাশের চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশ-পাশের বিভিন্ন গাছ-গাছালির ডালে ডালে। আবার কিছুক্ষণ পরে চলে আসে এজলাশয়ে।
সকালে ও বিকালে উড়ন্ত পাখিদের নয়নাভিরাম দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করতে পাখিপ্রেমী অনেকেই ছুটে আসছেন। স্থানীয়রা জানায়, বালিহাঁস, সাদা বক, কালচে বক, কানি বক, পানকৌড়ি, টিকিহাঁস ও গিরিহাঁস ও শামুক খোল- এসব অতিথি পাখির মধ্যে বালিহাঁসের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। দর্শনার্থীরা বলছেন, নগরে যেন চিত্তবিনোদনের ক্ষেত্রে এ এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।