হাজীগঞ্জ দূর্গ (Hajiganj Durgho), এটি একটি ঐতিহাসিক দূর্গ। নারায়ণগঞ্জ সদরে হাজীগঞ্জের কিল্লাপুর নামক স্থানে এর অবস্থান, এই কেল্লা বাংলার বার ভূইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ র কেল্লা হিসেবে পরিচিত।দূর্গের চারদিকে বিশাল দেয়ালের বেষ্টনী, প্রবেশ দারে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়, একপাশে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ওয়াচ টাওয়ার, বেস্টনীর সাইড দিয়ে ওয়াক ওয়ে, দেয়ালে তিন ছিদ্র বিশিষ্ট (ডান, বাম আর মাঝে) অস্ত্র চালানোর গর্ত,কেল্লার ভেতরে এখন পুরোটাই ফাকা শুধু কিছু গাছপালা দাঁড়িয়ে আছে, আর আছে বিশাল সবুজ মাঠ।
বর্তমান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশেই এর অবস্থান এবং বিপরীত দিকে গুদারাঘাটের অবস্থান, চাইলে ঘাট দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ছাউনী ওয়ালা নৌকা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, এছাড়া ওপারে আছে কদম রসূল মাজার।
১ দিনের ট্যুরে ঘুরে আসুন নারায়নগঞ্জের- আজ বলবো শেষ পর্ব। গত ২ পর্বে বলেছিলাম সোনাকান্দা দূর্গ এবং কদম রসুল দরগাহ্ এর কথা। আমাদের এই দুটো জায়গা ঘুরে ফিরে দেখে ও ছবি তোলা শেষ করতে করতে বেলা প্রায় ২টা বাজল। কদম রসুল দরগাহ্ দেখা শেষ করে রিক্সা করে আবার ফিরলাম বন্দর ঘাটে। ভাড়া যথারীতি ২০ টাকা। এবার গন্তব্য হাজীগঞ্জ দূর্গ।
হাজীগঞ্জ দূর্গটি নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় হাজীগঞ্জের কিল্লারপুল নামক স্থানে অবস্থিত। এটি বাংলার বার ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর কেল্লা হিসেবেও পরিচিত। ওপারে গিয়ে চিরচেনা সেই সমস্যায় পরলাম। ১জন ব্যাক্তিকেও পেলাম না যিনি দূর্গটির সঠিক লোকেশন বলতে পারেন। পরে ১ রিক্সাওয়ালাকে বল্লাম কিল্লারপুল যাবো। জানিনা কেন রিক্সাওয়ালা পাল্টা প্রশ্ন করেনি, কিল্লারপুলে কোথায় যাবো। তাহলেই হয়েছিলো! যাহোক আপনারা যারা ভবিষ্যতে যাবেন তারা কিল্লারপুল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কথা বলে দেখতে পারেন। দূর্গটি একেবারে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লাগোয়া।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে নায়ায়গঞ্জগামী যে কোন ট্রেন বা বাসে নারায়ণগঞ্জ যাবেন,সেখানে মেট্রো হলের পাশে বাসস্টান্ড থেকে গুদারাঘাট গামী অটো রিকশায় ভাড়া জন প্রতি ১০ টাকায় যাওয়া যায় বা রিকশায় ১৫ টাকা।এছাড়া নারায়ণগঞ্জ রেল ষ্টেশন বা বন্দর থেকে অটো বা রিকশায় যাওয়া যাবে।