স্বপ্নপূরী হচ্ছে দিনাজপুরে অবস্থিত একটি মনোরম পার্ক। ১৯৮৯ সালে মোট ৪০০ বিঘা জমির উপর এটি তৈরি করা হয়। পর্যটন সম্ভাবনার জেলা দিনাজপুরে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে সবসময়ই থাকে পর্যটকদের আসা যাওয়া। কাজের ক্লান্তি দুর করতে একটু ছুটির ফাকে তাই অনেকেই আসেন এই দিনাজপুরে। এ জেলার এমনই একটি পর্যটন স্থান স্বপ্নপূরী(Shopnopuri)। যেখানে রয়েছে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পরিবেশের সমাহার। আর সময়ের সাথে সাথে এই পর্যটন স্থান পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।দিনাজপুর থেকে ৫২ কিলোমিটার দুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ খালিসপুর এলাকায় স্বপ্নপুরী অবস্থিত। বেসরকারী পর্যায়ের এই বিনোদন কেন্দ্রটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। এই স্থানটি মুলত পিকনিক স্পট হিসেবে পরিচিত হলেও ঈদসহ বিভিন্ন ছুটির সময়গুলোতে এখানে থাকে উপচেপড়া ভীড়। দিনে দিনে স্বপ্নপূরী উন্নত হওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে পর্যটক সংখ্যা।
প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পরিবেশের সমাহার দিনাজপুরের স্বপ্নপূরীস্বপ্নপুরীতে প্রবেশের সময় বিশালাকৃতির দুটি পরী স্বাগত জানাবে। এরপর ভিতরে সারি সারি দেবদারু গাছের ভিতর দিতে চলা ভিন্ন ভিন্ন রাস্তাগুলো গিয়ে পৌছেছে একেকটি একেক দিকে। এসব রাস্তা দিয়ে যেতে রয়েছে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়ী। রাস্তার দু’ধারে রয়েছে চোখ জুড়ানো ফুলের গাছ ও বাহারী ফুল। রাস্তা শেষে রয়েছে কৃত্রিম হৃদ, পাহাড়, লেক, উদ্যান, শিশুপার্ক, চিরিয়াখানা, জাদুঘর, ফুলবাগান ঝরনাসহ বিভিন্ন জিনিস। স্বপ্নপুরীতে অবস্থিত লেকে জলবিহারে মেতে উঠার জন্য রয়েছে স্পীডবোট আর লেকের উপরে রয়েছে কেবল কার। শিশুদের চিত্ত-বিনোদনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের রাইড।
এই বিনোদন কেন্দ্রটিতে রয়েছে চিরিয়াখানা। যেখানে দেখা যাবে বাঘ, ভল্লুক, হরিণ, হনুমান, বানর, কুমির, ময়ুর, কবুতরসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রাণী। পাশাপাশি রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রয়েছে শৈল্পিক মোরাল চিত্র। আর এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশে মন জুড়ানোর জন্য রয়েছে বসার স্থান। স্বপ্নপুরী মূলত পিকনিক স্পট হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হলেও মাঝে মধ্যে এখানে চলচিত্রের শুটিংও হয়ে থাকে। নিরিবিলি এই পরিবেশে থাকার জন্য রয়েছে আবাসিক হোটেল।
অবস্থানঃ
দিনাজপুর থেকে ৫২ কিলোমিটার দুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ খালিসপুর এলাকায় স্বপ্নপুরী অবস্থিত।
এখানে সব মিলে কেমন খরচ হতে পারে