ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ পুরার্কীতি রামুতে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। যার মধ্যে বৌদ্ধ মন্দির, বিহার ও চৈত্য-জাদি উল্লেখযোগ্য। রামুতে প্রায় ৩৫টি বৌদ্ধ মন্দির বা ক্যাং ও জাদি রয়েছে। বৌদ্ধ ঐতিহ্যের মধ্যে রামুর লামার পাড়া ক্যাং, কেন্দ্রিয় সীমা বিহার (১৭০৭), শ্রীকুলের মৈত্রী বিহার (১৯৮৪), অর্পন্নচরণ মন্দির ,শাসন ধ্বজামহাজ্যোতিঃপাল সীমা (১২৮৯বাংলা), শ্রীকুল পুরাতন বৌদ্ধ বিহার(Ramu Buddhist Vihara), শ্রীকুলেরচেরেংঘাটা বড় ক্যাং, (রোয়াংগ্রী ক্যাং ১৮৮৫) সংলগ্ন মন্দির সমুহ, দক্ষিনশ্রীকুলের সাংগ্রীমার ক্যাং সংলগ্ন মন্দির সমুহ, রামকৌট বনাশ্রম বিহার।পূর্ব রাজারকুল বৌদ্ধ বিহার, চাতোফা চৈত্য জাদি, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞাবনবিহার সংলগ্ন মন্দির উল্লেখযোগ্য। বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র উত্তর মিঠাছড়ি ১০০ফুট সিংহ সজ্জা বৌদ্ধ মুর্তি। উত্তর ফতেঁখারকুল বিবেকারাম বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন মন্দির সমুহ, ঈদগড় বৌদ্ধ বিহার প্রভৃতি। রামুর এই বৌদ্ধঐতিহ্য অতীত কাল থেকে গৌরবময় সাক্ষ্য বহন করে আসছে।এখানকার বৌদ্ধবিহার ও প্রত্নতাতিত্ত্বক নিদর্শন পরিদর্শনে সারাবছর দেশী ওবিদেশী পর্যটকর সরব উপস্থিতি চোখে পড়ে। আর পর্যটন নগরী হওয়ায় পর্যটকদের কাছে এগুলোর আকর্ষণও বেশী থাকে। সরকারের পৃষ্টপোষকতায় প্রাচীন নিদর্শনবৌদ্ধ পূরার্কীতিগুলো রক্ষনাবেক্ষন করার উদ্যোগ নিলে রামুর এসব ধর্মীয় ওপূরাকীর্তিগুলো পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখবে।
কিভাবে যাবেনঃ
বৌদ্ধ মন্দিরটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস, ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়।