ইকো-টুরিজমের ধারণা নিয়ে গড়ে উঠেছে বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র রাইন্যা টুগুন (Rainya Tugun Eco Resort )। প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্টে রয়েছে দেশী বিদেশী অনেক ফুল, ফল এবং ঔষধী গাছের বিশাল সমারোহ। ভোরের আদ্রতায় ভেজা ঘাসের বনে যখন চলে ফড়িংসহ নানা কীট পতঙ্গের মিলনমেলা তখন নিশ্চয় মনে পড়বে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত কারিগরী জ্ঞান কত সুক্ষ ভাবে প্রয়োগ ঘটিয়েছে রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট কতৃৃপক্ষ। পক্ষান্তরে, গোধুলী সন্ধ্যায় রাঙা রবির রক্তিম আভা চিকচিক করে যখন নীল পাহাড় ভেদ করে আধারের সাথে আলিঙ্গনে নেমে পড়ে তখন নাম না জানা হাজারো বুনো পাখির নীড়ে ফেরার আয়োজন সত্যিই রোমাঞ্চকর। আর আপনি যদি নিরালায় বসে একামনে একটু ধ্যান করতে চান তবে এই রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট আপনাকে সে পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
এই রাইন্যা টুগুন ইকো-ভ্যালি যেন এক টুকরো পার্বত্য চট্টগ্রাম। রাইন্যা টুগুনের মাঝে যে ছোট ছোট টিলা আছে সেগুলির নামের মধ্যে আছে বেশ বৈচিত্র্য- ফুরোমোন, ফালিটাঙ্যা চুগ, কেওক্রাডং, আলুটিলা, সাইচলমোন যেগুলি দেখার জন্য ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে বারংবার রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি। ফালিটাঙ্যাচুগ এর খোলা মাঠে আপনি বন্ধুদের সাথে মেতে উঠতে পারেন প্রাণের আড্ডায়। ‘ওপেন ইয়ার্ড’ অণুষ্ঠান করার জন্যে এই ফালিটাঙ্যাচুগ প্রস্তুত করা হয়েছে। অপর দিকে চিম্বুক চুড়ার সন্নিকটে তিনদিক থেকে জল পরিবেষ্টিত ‘নৌগাঙ’ রয়েছে যেখানে দর্শনার্থীদের নৌযান ভিড়ানোর নির্ধারিত জায়গা।
এছাড়া কাপ্তাইবাধের ফলে বাস্তচ্যুত কামিলাছড়ি পাহাড়ি গ্রাম, এ গ্রামবাসীর সান্নিধ্যে তাদের জীবন প্রণালী আপনাকে ভাবনার এবং দেখার খোরাক জোগাবে। রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্টের চারপাশে কাপ্তাই হ্রদের সবুজ জলরাশিতে গোসল বা সাতাঁর কাটার (লাইফ জ্যাকেট দিয়ে) জন্য অপূর্ব সুযোগ আছে এখানে।
এগুলোতেই শেষ নয়। প্রকৃতির সানিধ্যে থেকে সবুজের সাথে মানুষের মিতালী তৈরী করার জন্যে ভিলা/কটেজ কটেজ নির্মাণের উদ্যোগ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর যারা নানা অনুষ্ঠান, মিটিং বা সভা করতে চান তাদের জন্য নিমীর্ত হয়েছে কনভেনশন হল। কাম ‘বাওচখানা’ রেস্টুরেন্ট, ভোজনরসিকদের জন্য রয়েছে স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি দেশী এবং বিদেশী খাবারের সুব্যবস্থা।
ভ্রমন পিপাসুদের থাকার সুব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়িদের নির্মাণশৈলী অনুকরনে ভিলা/কটেজ।
যোগাযোগ :
E-mail: rainyatugun@yahoo.com,
মোবাইল : ০১৫৫১৭০৮২৪৪
ওয়েব সাইট – http://www.rainyatugun.com/
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে রাঙ্গামাটির সরাসরি বাস রয়েছে। আবার চিটাগং হয়েওযাওয়া যায়। যে পথেই যান না কেন খরচ হবে ৬৫০ টাকারমধ্যে। বাসে উঠতে পারবেন কল্যাণপুর, কলাবাগান, সায়েদাবাদ থেকে। তাছাড়া চট্টগ্রাম থেকে যেতে চাইলে নগরের অক্সিজেন মোড় থেকে বেসরকারি পরিবহনের বাস এবং কদমতলী থেকে বিআরটিসির বাস পাওয়া যায়। বাসে ১১০ টাকায় পাহাড়ীকা পরিবহন আর ৯০ টাকায় বিরতিহীন পরিবহনে মাত্র আড়াই ঘন্টায়ই পৌঁছে যাবেন পাহাড়ি শহর রাঙামাটি। পাহাড়ীকা বা বিরতিহীন সকাল ছ’টা থেকে টাকা রাত ৮ টা অব্দি ৪০ মিনিট বিরতিতে ছাড়তেই থাকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে।
এখানে যেতে হলে দুই পথে যাওয়া যায় –
১। কাপ্তাই থেকে কাপ্তাই-রাঙ্গামাটি সড়কে মাত্র ৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। রাঙ্গামাটি শহরের যে কোন স্থান থেকে, তবলছড়ি এবং আসামবস্তী থেকে সিএনজি, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার এবং মোটর সাইকেলে করে খুব সহজে যাওয়া যায়। রাঙামাটি শহর থেকে সড়ক পথে এর দূরত্ব প্রায় ১৮ কি:মি:।
২। বোটে বা লঞ্চেও যাওয়া যায় রাইন্যা টুগুনে খুব সহজে। রাইন্যা টুগুন যাওয়ার জন্য লোকাল বা লাইন বোটের কোন ব্যবস্থা না থাকলেও ভাড়া করা বোট বা লঞ্চ এর সুবিধা নিতে পারেন। আর এ বোট বা লঞ্চ সহজে পাওয়া যাবে রির্জাভ বাজার এবং তবলছড়ি বোট ঘাট থেকে।
বোটে যাওয়ার মধ্যে আলাদা প্রাপ্তি হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ের সাথে বন্ধুত্ব এবং তার চারপাশে বির্স্তীণ বিশাল জলরাশির শীতল স্পর্শে স্বর্গ সুখের হাতছানি। সড়ক পথে গেলেও আপনার প্রাপ্তি কম নয় । সাপের মতো আকাঁবাকাঁ পথ আর রোডের এক পাশে কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি অন্যপাশে উচু-নিচু আর ছোট বড় সবুজ পাহাড় আপনাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে আপনার গšতব্যে। আর কাপ্তাই থেকে যেতে চাইলেও খুব সহজে আপনারা যেতে পারেন রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট।
কাপ্তাই নতুন বাজার থেকে এর দুরত্ব ৩ কিলোমিটার। মোটর সাইকেল, অটোরিক্সা বা মাইক্রো বাস দিয়ে যাওয়া যায় এই রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট এ। তাছাড়া রাইন্যা টুগুন ইকো রিসোর্ট এর খুব কাছে নেভী ক্যাম্পের পর্যটন স্পটও আপনি ঘুরে আসার বাড়তি সুযোগ নিতে পারেন।
এন্টি ফী কত..?
আপনারা ছবি যোগ করেন না কেন?
শুধু বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ছবি নিয়ে আমাদের আরো একটি সাইট আছে যেখানে খুব সুন্দর ভাবে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ছবি দেওয়া আছে। দর্শনীয় স্থানের ছবি দখেতে উপরের মেইন মেনু থেকে “ভ্রমনের ছবি” নামক মেনুতে ক্লিক করুন।