বঙ্গবন্ধু বহুমুখী যমুনা সেতুর নিকটবর্তী যমুনা নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে অবস্থিত যমুনা রিসোর্ট (Jamuna Resort)। সর্বদিক বিবেচনা করে এই রির্সোটিকে থ্রি স্টার মর্যাদা দেওয়া হয়। এটি টাংগাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মাঝে অবস্তিত।
মন ভালো করার মতো পরিবেশ আর বিদেশের মতো সুযোগ সুবিধায় ছুটি কাঁটানোর জন্য অনন্য জায়গা। সেখানে রয়েছে সুইমিংপুল, জিম, হেলথ ক্লাব, বেকারি, স্যুভেনির শপ, ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ এবং ইনডোর ও আউটডোর গেমসের ব্যবস্থা। অনেকটা এলাকা জুড়ে আউটডোরে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা এবং ইনডোরে ব্যাডমিন্টন, হকি ও দাবা খেলার সুবিধা রয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আবাসনের সু-ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে ডিলাক্স এক্সিকিউটিভ সুইট, রয়েল সুইট, ২ বেডরুম কটেজ, ৩ বেডরুম কটেজ, এক্সট্রা বেড ও ডরমিটরি সুবিধা রয়েছে। প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে ২৪ ঘন্টা এসি, টিভি, ফ্রিজ, লার্জ বাথ ও ট্যাপ, গরম ও ঠাণ্ডা পানির ব্যবস্থা।
এ ছাড়াও যারা বড় দল যেমন অফিস ট্রুর, শিক্ষা সফর এ আসেন তাদের জন্য রিসোর্টের ভেতরে রয়েছে ১৫০ জন ধারণক্ষমতার রেস্টুরেন্ট। তাই খুব সহজেই এখানে সকালের নাস্তা, দুপুরের ও রাতের খাবারে খাওয়া যায়। এখানে রয়েছে দুটি হলরুম। একটির নাম যমুনা অন্যটি ব্রহ্মপুত্র। প্রত্যেকটির লোক ধারণক্ষমতা প্রায় ২শ জন।
যারা নৌকায় ঘুরতে পছন্দ করেন তাদের নৌ-ভ্রমণের জন্য রয়েছে লাইফবোট ও স্পিডবোট। যে কেউ এই বোটগুলো দিয়ে রিসোর্টের সাইট পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন – 01715 852 997, 01847 239 275
কিভাবে যাবেন:
যমুনা রিসোর্ট এ কয়েকভাবে যাওয়া যায়। নিজেদের গাড়ি, বাস অথবা ট্রেনে ও যেতে পারেন।
ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাস ষ্ট্যান্ড থেকে টাঙ্গাইলের বাসে গেলে তুলনামূলক ভাড়া কম লাগে। আপনি চাইলে কমলাপুর অথবা বিমানবন্দর থেকে ট্রেনেও যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সেতুর আগের স্টেশনে নামতে হবে। এরপর হেঁটে অথবা রিকশাযোগে কয়েক মিনিটের পথ।
অথবা ভূঞাপুর উপজেলা গেইট থেকে সিএনজি/ রিক্সা দিয়ে যমুনা সেতু বাজার থেকে কিছুক্ষন পরই ও যমুনা রিসোর্ট। সে ক্ষেত্রে আপনাকে জনপ্রতি সিএনজি ভাড়া ২৫-৩০ টাকা, রিক্সা বা ভ্যান ভাড়া ৩০-৩৫ টাকা হতে পারে।
আপনাদের রিসোর্টে সর্বনিম্ন রুম ভাড়া কতো? এবং সর্বোচ্চ রুম ভাড়া কতো, জরুরি জানতে চাই
আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর পেতে উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারে কল করুন।