সৌন্দর্যময় অপরুপ লীলাভুমি বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে হলুদিয়া নামক স্থানে প্রান্তিক লেক (Prantik Lake) ও পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত। বান্দরবান জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত এ প্রান্তিক লেক ও পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত বলে এই লেকের নাম প্রান্তিক লেক। পাহাড় বেষ্টিত ৬৮ একর এলাকা জুড়ে এ পর্যটন কেন্দ্রর মাঝে ২৫ একরের বিশাল প্রান্তিক লেক। আয়তনে লেকটি বগা লেকের চেয়েও বড়।
এখানে শিক্ষা সফর ও পিকনিকের জন্য সব আয়োজন রাখা হয়েছে। রয়েছে মাটির তৈরি উন্মুক্ত মঞ্চ। সামনে রয়েছে কয়েকশ লোকের বসার মতো মাঠ। অপূর্ব সুন্দর এ লেকের চারিপাশ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গাছালিতে ভরপুর। শব্দ ও পরিবেশ দূষণ মুক্ত এখানে রয়েছে শুধু হরেক রকম পাখির কলকাকলি। লেকের পাশে পাহাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাস। পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত থাকে সারাটি বেলা। লেকের নীল জল আর পাড়ের সবুজ বনানী এখানে তেরি করেছে একটি ভিন্ন মাত্রা। গাছের শীতল ছায়া আর নির্মল বাতাস আপনার সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া লেকের পাড়ের অরণ্যে আছে বানর-পাখিসহ নানান প্রজাতির বণ্যপ্রাণী। জলাশয়ে আছে ডাহুক, বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ।চাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে লেকে মাছ শিকার কিংবা প্যাডেল বোট নিয়ে মেতে উঠতে পারেন এখানে। মাছ শিকার করা সুযোগ রয়েছে এ প্রান্তিক লেকে।
প্রান্তিক লেকে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলা সদর থেকে সিএনজি অটোরিস্কা , জীপ, মাইক্রোসহ যে কোন যানবাহনে সহজেই প্রান্তিক লেক পৌছাঁ যায়। ঢাকা বা চট্রগ্রাম থেকে বান্দরবানগামী যে কোন বাসে সুয়ালক হলুদিয়া নামক স্থানে নেমে সিএনজি অটোরিস্কায় আধ ঘন্টার মধ্যে এই স্পটে পৌছাঁনো সম্ভব। ভাড়া নেবে ১০০ টাকা।
কোথায় থাকবেন
প্রান্তিক লেকে খাবার ও রাত্রি যাপনের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই দিনে এসে দিনেই ফিরে যেতে হবে। এখানে পর্যটকদের নিজেদের খাবার ও পানি নিয়ে যেতে হবে। রাত্রি যাপনের জন্য মেঘলা অথবা বান্দরবান শহরে ফিরে যেতে হবে। বান্দরবানের সকল হোটেল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।