দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ। সারি সারি পাহাড় সেই সাথে রোদ বৃষ্টি আর মেঘের অপূর্ব মিতালি। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের মনমাতানো এই দৃশ্য ভোলার নয়। নীল দিগন্ত(Nhil Dighonto) থেকে পুরো থানচিসহ প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের উচুঁ পাহাড়-পর্বতগগুলো সহজেই দেখা যায়। বর্ষায় মেঘের লুকোচুরি ও খেলা মনমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে চিম্বুক পাহাড়ে গড়ে উঠা পর্যটনের নতুন নতুন স্থানগুলো সবারই দৃষ্টি কাড়ছে। অনন্য নির্মান শৈলীর এসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো জেলার বিকাশমান পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চিম্বুক পাহাড়ের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরির কাছেই জীবন নগর এলাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নীল দিগন্ত নামের নতুন একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
চন্দ্র পাহাড়ের কোল ঘেষে গড়ে উঠা নতুন এই পর্যটন কেন্দ্রটি থেকে দেশের সর্বোচ্চ পর্বত কেউক্রার্ড তাজিংডং রেঞ্জ দেখা যায়। এছাড়া দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ পাহাড় শ্রেণী ও বর্ষায় মেঘ বৃষ্টি আর রোদের মিতালিও চোখে পরবে এই স্থানটি থেকে।
প্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গার উপর পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে ভিউ পয়েন্ট, হাটার পথ, গোল ঘর, টিকেট কাউন্টার, ক্যান্টিন ও অনন্য নির্মান শৈলির প্রবেশ দ্বার রয়েছে। জীবন নগর এলাকার এই স্থানটি থেকে প্রকৃতির অপূর্ব মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে বর্ষায় এর রুপ হয়ে উঠে অনন্য সুন্দর। পশের চন্দ্র পাহাড় সবুজ দিগন্তের এই পর্যটন কেন্দটিকে নতুন রুপ দিয়েছে।
নীল দিগন্ত কিভাবে যাবেনঃ
নীলগিড়ি পর্যটন কেন্দ্র থেকে এই স্থানটি দুরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। জেলা শহর থেকে জীপ, ট্যাক্সি বা বাসে করে সহজেই এই স্থানটিতে যাওয়া যায়।