মূলত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার ক্ষেত্রে, স্বাধীনতা সংগ্রামী-স্বাধীনতাকামী জনসাধারণের মত-বিনিময়ের মিলনস্থান এবং শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে জেএম সেন হল(JM Sen Hall) প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন ব্যারিস্টার ও কলকাতা শহরের মেয়র এবং জাতীয় কংগ্রেস পার্টির প্রেসিডেস্ট যতীন্দ্রমোহন সেন তাঁর পিতা যাত্রামোহন সেনের, যিনি পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন, স্মৃতিতে এই মিলনায়তনের নামকরণ করেন। ১৮৭৫ সালে, যাত্রামোহন সেন চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েসনের নামে একটি সংগঠন এবং ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠন করেন। এরপর কিছু বছর পর ১৯১৪ সালে মিলনায়তনের জন্য জমি এবং তিন হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। দু-বছর পর ১৯১৬ সালের ১৯ নভেম্বর শরৎচন্দ্র রায়বাহাদুর সেই স্থানে জেএম সেন হল নামে প্রথম টাউন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রায়বাহাদুর নবীনচন্দ্র দত্ত এই হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই হলে একটি ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্য সেন, উপমহাদেশ খ্যাত রাজনীতিবিদ যতীন্দ্রমোহন সেন, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মহিমচন্দ্র দাশ, চট্টগ্রামের নারী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা নেলি সেনগুপ্তার আবক্ষ মূর্তি।
কিভাবে যাবেন
জেএম সেন হল চট্টগ্রামের প্রথম টাউন হল। এটি চট্টগ্রামের কেন্দ্রস্থল আন্দরকিল্লার নিকটবর্তী রহমতগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত।