মৌলভীবাজার জেলার প্রাচীন ও অন্যতম জনপদ শ্রীমঙ্গল। বিশেষ করে চায়ের জন্য স্থানটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে পরিচিত। প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো এ চায়ের জনপদে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে টি রিসোর্ট ও মিউজিয়াম (Sreemangal Tea Resort and Museum) গড়ে উঠেছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ টি বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় চা গবেষণা কেন্দ্রের কাছে উঁচু-নিচু টিলা ও চা বাগান ঘেষে টি রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এ এলাকাটি একসময় বৃটিশ কারিগরি নামে ব্যাপক পরিচিত ছিল।
২০০৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল রুহুল আমিন টি রিসোর্টের দুটি বাংলোর ৪টি কক্ষ নিয়ে এই টি রিসোর্ট ও মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন। মিউজিয়ামটিতে মূলত দেড়শ’ বছর আগে বৃটিশদের শাসন আমলে চা বাগানের বাবু (ম্যানেজার) এবং ভারতের উড়িষ্যা প্রদেশ থেকে আসা চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত আসবাবপত্র ও মুদ্রা রয়েছে। পাশাপাশি স্বাধীনতার আগে চা বোর্ডের দায়িত্ব পালনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত একটি টেবিল ও চেয়ার মিউজিয়ামে স্থান পেয়েছে।
এছাড়া রয়েছে বৃটিশ আমলে চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত বিশেষ কম্পাস, ঘড়ি, পাম্প টিউবওয়েল, খাট, টেবিল, আয়রন বেম্ব স্টিক, পানির ফিল্টার, চা গাছের মোড়া ও টেবিল, পাথর হয়ে যাওয়া গাছের খ-, প্রোনিং দা, প্লান্টিং হুক, দিক নির্ণয় যন্ত্র, ফসিল, লোহার পাপস, ফ্যান, নারী শ্রমিকদের ব্যবহৃত গহনা, কাটা কুদাল, টাইপ রাইটার, লোহার ফ্রেম টেবিল, প্রনিং নাইফ, ইলেকট্রিক ফ্যান, সার্ভে চেইন, রেডিও, কেরোসিন চালিত ফ্রিজ, সিরামিক ঝাড়, রাজনগর চা বাগানের নিজস্ব কয়েন, লন্ডন থেকে আনা ওয়াটার ফিলটার, রিং কোদাল, তীর ধনুকসহ দুর্লভ আসবাবপত্র।
কিভাবে যাবেন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহর থেকে অটোতে করে চা জাদুঘর যাওয়া যায়।