কালুরঘাট

কালুরঘাট(Kalurghat) চট্টগ্রাম শহর এর দক্ষিণাঞ্চলে বহদ্দারহাটের 5/7 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি এলাকা। 1930 সালে এখানে কালুরঘাট সেতু নির্মিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে [[বহদ্দারহাট|বহদ্দারহাটের] সন্নিকটে স্থাপিত বেতার কেন্দ্রটি দেশব্যাপী ঐতিহাসিক কালুরঘাট সেতুর কারনে ব্যাপক পরিচিত কালুরঘাট এর নামানুসারে নামকরণ করা হয় কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র যা বর্তমানে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হিসাবে বাংলাদেশ বেতার এর সম্প্রচার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহুত হচ্ছে। এখান থেকে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমান (পরবর্তীতে জেনারেল ও রাষ্ট্রপতি) বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেন।
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বার্মা ফ্রন্টের সৈন্য পরিচালনা করার জন্য কর্ণফুলী নদীতে ব্রীজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। ফলে ১৯৩০ সালে ব্রুনিক এন্ড কোম্পানী ব্রীজ বিল্ডার্স হাওড়া নামক একটি ব্রীজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজটি নির্মাণ করে। মূলত: ট্রেন চলাচলের জন্য ৭শ গজ লম্বা সেতুটি সে বছর ৪ জুন উদ্বোধন করা হয়। পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পুনরায় বার্মা ফ্রন্টের যুদ্ধে মোটরযান চলাচলের জন্য ডেক বসানো হয়। দেশ বিভাগের পর ডেক তুলে ফেলা হয়। পরে ১৯৫৮ সালে সব রকম যানবাহন চলাচল যোগ্য করে ব্রীজটির বর্তমান রূপ দেওয়া হয়। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ব্রীজটির রয়েছে ২টি এব্যাটমেট, ৬টি ব্রিক পিলার, ১২টি স্টীলপিলার ও ১৯টি স্প্যান।

কিভাবে যাবেন

বাংলাদেশর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের গোড়াপত্তণকারী কর্ণফুলী নদীর মোহনা হতে 7/8 মামাইল উজানে কালুরঘাট নামক স্থানে এটি তৈরী হয়। যা স্থানিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম শহর হতে দক্ষিণাশে অবস্থিত।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 14, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.