বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রায় ১১০০ একর জায়গা নিয়ে ২০১৩ সালে ঘাঘট নদীর দুপাশে গড়ে তুলেছে প্রয়াস সেনা বিনোদন পার্ক। নদী পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থা আছে। বেশ গোছানো এ পার্কের উপার্জনের ৭৫ শতাংশ ব্যয় হয় প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে। সেনা চৌকি পুরো বিনোদন কেন্দ্রটিকে করেছে নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট।চমৎকার মুখোমুখি বসবার জন্য ব্যবস্থা থাকায় কপোত-কপোতিদের উপস্থিতিই অধিক। এত চমৎকার স্পট এর আগে চোখে পড়েনি।সুন্দর জায়গা। তাই নদীর পাড়ে নির্মল বিনোদন উপভোগের এক অপূর্ব নিদর্শন।
পার্কের ভেতরের মূল সড়ক সাজানো হয়েছে লোহার গ্রিল দিয়ে, যার ওপরে লতার মতো বেয়ে উঠেছে বাগান বিলাস।রাস্তার সঙ্গে লাগোয়া তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টং দোকান। সড়কের দুই পাশে শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে দোলনাসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সরঞ্জাম। বসার জন্য তৈরি হয়েছে বেঞ্চ। নদীর কিনাররায় রেপ্লিকা হিসেবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের নৌকা। সব মিলিয়ে ঘাঘট সেজেছে অপরূপ সাজে।
বিনোদন পার্কে শিশুদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু রাইটার। সেখানে শিশুরা নিজের ইচ্ছে মত খেলাধুলা করতে পারে। রাইটার গুলোর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট টিকেট কাউন্টার। শিশুরা পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে আসে অবসর সময় বিনোদনের মাধ্যমে পার করতে।
এই পার্ক ও পিকনিক স্পটটি গড়ে উঠেছে মূলত ঘাঘট নদীর দুই পাড় ও এর আশেপাশের এলাকাকে কেন্দ্র করে। নদীর অন্য পারে তিস্তা, করতোয়া ও যমুনা নামে গড়ে তোলা তিনটি পিকনিক স্পট রয়েছে, যেখানে ২০০-২৫০ জন পর্যটক অনায়াসেই আনন্দ উদযাপন করতে পারবেন।
পার্কটির প্রায় মাঝখানে রয়েছে সুন্দর মনোরম পরিবেশে ঘেরা একটি ছোট্ট দ্বীপ। দ্বীপটির নাম হচ্ছে “ছেড়া দ্বীপ”। নৌকাপথ দিয়ে যেতে হয় সেই ছোট্ট দ্বীপটিতে। সেখানে নৌকা ভ্রমনের আনন্দই অন্য রকম।
দ্বীপে রয়েছে – মিশরী ডুমুর, সবেদা, পলাশ, সোনালু, চেরী ফুল সাদা, বোতল ব্রাশ মালটা, পানিয়াল প্রায় ১৫০’শ প্রকার দেশী বিদেশী নারকম ফল ও ফুলের গাছ। পার্কটিকে সুন্দর করতে গিয়ে কিছু বৃক্ষ নিধন করা হলেও বিশাল এলাকাজুড়ে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধি, বনজ ও ফলজ বৃক্ষ।
যেভাবে যাবেন :
প্রয়াস সেনা বিনোদন পার্ক রংপুর শহরের নিসবেতগঞ্জ রোডে অবস্থিত। শহরতলী এই বিনোদন পার্কটিতে মেডিক্যালের মোড় থেকে রিক্সায় যেতে ৫০ টাকা খরচ পড়ে। লাইনের অটো বা সিএনজি-তে যাতায়াত করলে খরচ নেমে আসবে ১০ টাকায়।