প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছে পাখি মেলার ১৬তম আসর।
ষড় ঋতুর এই দেশে বরাবরই শীত আসে ভিন্ন সৌন্দর্য্য নিয়ে। আর সেই সৌন্দর্য্যে বাড়তি মাত্রা যোগ করে শীত প্রধান দেশ থেকে উড়ে আসা নানা বর্ণের নানা জাতের অতিথি পাখি। মৌসুম জুড়ে দেশের বিভিন্ন জলাশয় এবং অনুকূল এলাকাগুলো উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ভিনদেশী পাখির কলকাকলিতে। তেমনি এবছরও আসতে শুরু করেছে নানা জাতের পাখি।
দিনভর অতিথি পাখির উড়া উড়ি আর ডুব সাঁতারের মন মাতানো দৃশ্য। সেই সাথে জলাশয়ে পাখিদের খুনসুটি আর কলকাকলি মুগ্ধ করে প্রকৃতি প্রেমীদের। প্রতি বছর শীত আসলেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল শাপলার এই জলাশয়ে ভিড় করে অতিথি পাখিরা। জীব বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাই প্রতিবছর আয়োজন করা হয় পাখি মেলার। যা দেখতে ভিড় করেন পাখি প্রেমীরা।
তারা বলেন, প্রতিবার এখানে পাখিমেলা দেখতে আসা হয়। পাখিকে কেন্দ্র করে পাখি মেলা একটি জাতীয় রুপ নিতে পারে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় উদাহরণ। ২০০ প্রজাতির পাখি এই ক্যাম্পাসে আছে। পাখি চিনতে পারে কিংবা পাখি নিয়ে উৎসাহী লোকের সংখ্যা বাড়ছে যার পেছনে এই পাখি মেলার অবদান আছে।
পাখি সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা বলেন, আমরা চাই পাখি নিয়ে মানুষ এখানে একটি দিন উপভোগ করুন। পাখি নিয়ে চর্চা হোক পাখি সংরক্ষণের কথা বলা হোক।
এছাড়া পাখি মেলা উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে শিশু- কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপে শিশু কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতাসহ পাখির আলোকচিত্র প্রদর্শনীর।
তথ্যসূত্র: https://goo.gl/LfHMJ5