হাতিমাথা পাহাড় – খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের দুর্গম হাতির মাথা পাহাড়ে(Hatimatha Pahar) এখন শোভা পাচ্ছে লোহার সিঁড়ি। আদিবাসীদের কাছে এদোশিরা মোনে নামে পরিচিত এই পাহাড়ের গায়ে সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
৩ জুন এই সিঁড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড খাগড়াছড়ি শাখা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন চৌধুরী। তাঁরা জানান, সিঁড়িটি চালু হওয়ায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার বহু গ্রামের আদিবাসীদের জেলা সদরে আসা–যাওয়া সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত হলো।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা বলেন, সিঁড়িটির নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে এদোশিরা মোনের ওপর দিয়ে যাঁরা চলাচল করে তাঁদের সুবিধা হলো। চলার পথ ঝুঁকিমুক্ত হলো।

নির্বাহী প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন চৌধুরী বলেন, এই এলাকা ও চলাচলের পথটি খুবই দুর্গম। জনপ্রতিনিধিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড একটি লোহার সিঁড়ি নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের খরচ ১২ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। তবে সিঁড়ির নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রাক্কলনের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়েছে।
এদোশিরা মোন নামের পাহাড়টি খাগড়াছড়ি সদর ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমানায় অবস্থিত। মাটিরাঙ্গা উপজেলার বহু গ্রামের বাসিন্দা দূরত্ব কম বলে জেলা শহরে আসা–যাওয়া করেন দুর্গম এ পাহাড়ি পথ দিয়ে। এত দিন পর্যন্ত এদোশিরা মোনে উঠতে বা নামতে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার খাড়া একটি গাছের মই ব্যবহার করতেন তাঁরা। এটি ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। ঝুঁকিপূর্ণ এই মই অতিক্রম করার সময় কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, সিঁড়িটির দৈর্ঘ্য ৩০৬ ফুট। এতে প্রায় ৩০০ ধাপ রয়েছে। নির্মাণের সময় পাহাড়টির কোনো রকম ক্ষতি করা হয়নি। সম্পূর্ণ লোহার রড দিয়ে সিঁড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। কথা হয় হাজাপাড়ার বাসিন্দা ত্রিবিজয় ত্রিপুরার সঙ্গে। সিঁড়ি পার হয়ে মাটিরাঙ্গা থেকে খাগড়াছড়ি সদরে যাচ্ছিলেন তিনি। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বলেন, লোহার সেতু হওয়ায় এলাকার মানুষের যাতায়াত অনেক সহজ হলো।

কিভাবে যাবেনঃ

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের হতে  মেইন রোড দিয়ে এছাড়াও মোটরসাইকেল সহ সকল যানবাহনে খুব সহজে আসা যায় এই হাতিমাথা পাহাড়ে।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 12, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.