শশী লজ – ময়মনসিংহ

ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী এই দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। মহারাজসূর্যকান্ত নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি তার দত্তক ছেলে মহারাজ শশীকান্ত আচার্য চৌধুরীর নামে এর নাম দেন ‘শশী লজ’(Shashi Lodge)।

১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী বাড়িটি পুনরায় নির্মাণ করেন।

শশীলজেরমূল ভবনের সামনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। বাগানের মাঝখানে আছে শ্বেতপাথরের ফোয়ারা। যার মাঝখানে আবার বিশাল গ্রিক দেবী ভেনাসের এক মর্মর মূর্তি।

মোট ৯ একর জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই শশীলজ। ভবনের প্রধান ফটকে রয়েছে ১৬টি গম্বুজ।

সব থেকে ভালো লাগল ভবনের পেছন দিকে থাকা দোতলা স্নানঘর, ঘাট ও পুকুর। পুকুরের ঘাটটি মার্বেল পাথরের। এখানে বসেই রানি পাশের পুকুরে ভেসে বেড়ানো হাঁসের খেলা দেখতেন।

১৯৫২ সালে এখানে মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাড়িটির মূল অংশ মহিলা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় ও দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জাদুঘর স্থাপনের জন্য শশীলজটি নিয়ে নেয়।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থান গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কোথায় থাকবেন

থাকার দরকার পড়ে না। দিনে গিয়ে দিনেই আসা যায়। তবুও খাকতে চাইলে শহরে বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। ভালো, মাঝারি ও সস্তা সব ধরনের হোটেলই পাবেন। সুবিধা মতো যে কোনো একটি বেছে নিবেন। ময়মনসিংহ শহরের হোটেলের গুলোর বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন। 

কীভাবে যাবেন

সড়ক ও রেলপথ দুই মাধ্যমেই ভ্রমণে যেতে পারেন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে। ঢাকার মহাখালী থেকে লোকাল ও গেইটলক দুই ধরনের বাস ছাড়ে।

মহাখালি থেকে চলা সেসব বাসের মধ্যে অন্যতম হল নিরাপদ, আলম এশিয়া, শামীম এন্টারপ্রাইজ, এনা এবং সৌখিন। ভাড়া এসি ৩৭০ টাকা, নন এসি ২৫০টাকা।

বাস থেকে নামবেন মাসাকান্দা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অটোতে বা রিকশায় চলে যেতে পারবেন শশীলজ বা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: ভ্রমণ পাগল,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 27, 2018

শশী লজ – ময়মনসিংহ, সম্পর্কে পর্যটকদের রিভিউ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.