রিসাং ঝর্ণা -খাগড়াছড়ি

আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে (খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক হতে এক কিমি দূরে) রিসাং ঝরনা(Risang Jorna)। মূল রাস্তা থেকে উত্তরে গেলেই ঝর্ণার কলধ্বণি শুনতে পাবেন। এখানে পাশাপাশি দুটি ঝরনা রয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য একটি ঝরনায় যেতে পাকা সিঁড়ি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তাই সহজে এই ঝরনায় যাওয়া যায়। প্রথমটি থেকে আরও ২০০ গজ ভেতরে আরও একটি ঝরনা। জেলা শহর থেকে ঝর্ণা স্থলের দুরত্ব সাকুল্যে ১১ কি: মি: প্রায়। নিজস্ব পরিবহন নিয়ে আপনি অনায়াসেই চলে যেতে পারেন একেবারে ঝর্ণার পাদদেশে। সামান্য পায়ে হাঁটা পথ যাত্রার আকর্ষণকে আরো বাড়িয়ে দেবে। উঁচু পাহাড়ের গা ঘেঁষে পায়ে হেঁটে যেতে যেতে যে কারো দৃষ্টি আটকে যাবে পাহাড়ী সবুজ আর জীবনধারায়। হাজার ফুট নীচের উপত্যকায় দৃষ্টি পড়লে কোন অপূর্ব মুগ্ধতায় যে কেউ শিউরে উঠবেন।
প্রাকৃতিক এই ঝরনাটি প্রায় ৩০ মিটার উঁচু থেকে আছড়ে পড়ছে নিচে। পুরোটাই পাথুরে পরিবেশ। পাহাড়ের প্রায় ১০০ ফুট উপর হতে ঝর্নার পানি নিচে পড়ছে। নিচে পড়ার পর তা আবার আরও ১০০ ফুট পাথরের ওপর গড়িয়ে নেমে আসে সমতলে। এটি এর একটি স্বাতন্ত্র রূপ যা আপনার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

কবে থেকে এই ঝরনা ধারাটি বয়ে চলেছে তা কেউ বলতে না পারলেও ২০০৩ সালে এটি ভ্রমণপিপাসুদের চোখে পড়ে। তখন থেকেই মানুষ আসছে এখানে। রিসাং ঝরনার জলে নেমে আপনি সাঁতার কাটতে পারবেন, ঝরনার ঝরে পড়া পানিতে প্রাকৃতিক শাওয়ার নিতে পারবেন, এমনকি যারা একটু দুরন্ত প্রকৃতির তাদের জন্য এখানে ওয়াটার রাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে। সবই বিনা পয়সায়।

ঝরনার পানিটা যেখান থেকে পড়ছে সেই মাথায় চলে যাবার রাস্তা আছে তাই সেখানে চলে যান, জায়গাটা সমতল বিধায় গোসলের পার্টটা সেখানে সারাই ভালো। ওই জায়গা থেকেই ফেরার জন্য আরেকটা উচু পথ দেখতে পাবেন। ওই পথ ধরেই হাটতে থাকুন দেখবেন এক সময় সেই পরিচিত আসার রাস্তায় আপনি চলে এসেছেন। এবার যে পথে এসেছেন সেই পথেই ফিরে যান হোটেলে।

কিভাবে যাবেনঃ

মহাসড়ক হতে হেরিংবোন রাস্তায় জীপ, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস বা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা যায়।জেলা সদর থেকে আলুটিলা পেরিয়ে সামান্য পশ্চিমে মূল রাস্তা থেকে উত্তরে ঝর্ণা স্থানের দূরত্ব সাকুল্যে প্রায় ১১কিঃ মিঃ। ঝর্ণার সমগ্র যাত্রা পথটাই দারুণ রোমাঞ্চকর। যাত্রাপথে দূরের উঁচু-নীচু সবুজ পাহাড়, বুনোঝোঁপ, নামহীন রঙ্গীন বুনোফুলের নয়নাভিরাম অফুরন্ত সৌন্দর্য্য যে কাউকে এক কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 12, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.