বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ – গোপালগঞ্জ

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন ৭১ এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ( Boddho Bhumi Sriti Shoudho) ও জয়বাংলা পুকর হচ্ছে এলাকাবাসীর স্মৃতি বিধুর স্থান। শত শত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিকামী বাঙ্গালীর আত্মহুতির নীরব সাক্ষী এ বধ্যভুমি। এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সমর্থকদের ধরে এনে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হতো। পাকবাহিনী কর্তৃক  জয়বাংলা পুকুর নাম করণ করা হয়। সেখানে মৃত দেহ টেনে হেচড়ে ফেলা হতো আর জয় উল্লাস করা হতো।

১৯৭২ সালে বাঙালী জাতির প্রথম বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয় যা পরবর্তীতে দুস্কৃতিকারীরা ধবংস করে ফেলে। অতপর আলহাজ্ব সাইদুর রহমান (চানমিয়া) দীর্ঘ দিন চেষ্টার পরে তৎকালীন মাননীয় জেলা প্রশাসক জনাব সা জ ম আকরামুজ্জামান এবং সদর উপজলো নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম ১৯৯০ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করেন।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ  – ঢাকা থেকে সারসরি বাসে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। বাসের রয়েছে দুটি রুট। একটি গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে, অপরটি গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট পাড় হয়ে। গাবতলী থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। গোল্ডেন লাইন, সেবা গ্রিন লাইন, কমফোর্ট লাইন নামের বাসে টুঙ্গিপাড়া যেতে সময় লাগে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বাস পাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা।

গুলিস্তান থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। এ পথে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, সেবা গ্রিস লাইন ও মধুমতী পরিবহনের বাসে চড়ে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বাস পাওয়া যাবে। ভাড়া প্রতিজন ৩০০ টাকা।

গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে রিক্সা যোগে বধ্য ভূমি স্মৃতিসৌধে যওয়া যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 6, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.