নিকলীর হাওর – কিশোরগঞ্জ

চারদিক নদী আর হাওর জলাশয় বেষ্টিত উপজেলা নিকলী কিশোরগন্জ জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্ব দিকে তার অবস্থান। এখানে রোদা নদী,সোয়াইজনী,নরসুন্দা,ধনু আর ঘোরাউত্রা হাওরের পানিতে একাকার হয়ে সমদ্রের রূপ ধারণ করেছে।

এখানে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হল কূর্শা থেকে মোহরকোনা বিস্তৃত ৭ কিলোমিটার ব্যাপী বেড়ীবাঁধ, কামালপুর থেকে দামপাড়া পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাঁধ,সোয়াইজনী ও নরসুন্দা নদীর ব্রীজ। হাওরের বিশাল জলরাশির মাজে দ্বীপ সদৃশ ডুবো গ্রাম সিংপুর,ঘোড়াদিঘা,ছাতির চর। হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গত কয়েক বছর যাবত দেশের ভিবিন্ন প্রান্তের মানুষ ছুটে আসছে। প্রতিদিন বিশেষ করে ছুটিরদিনে হাজারো ভ্রমণ পিয়াসীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে নিকলীর হাওর। প্রতিদিনই বাস মাইক্রো সি এনজি,হোন্ডা,নৌকা যোগে আসা শুরু করেছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তারা ঘুরে ঘুরে দেখছে হাওর,নদী আর ভিবিন্ন স্থাপনা।

তাই বলা যায় এখানের উম্মুক্তবাতাস আর ঢেউয়ের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ সবাইকে বিমোহিত করে। সুধু তাই নয় বর্ষায় হাওরের সৌন্দর্য আর খোলা আকাশের সাথে জলের মিতালীতে হারিয়ে যায় পথিকের মন।

আবহমান বাংলায় বর্ষার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে চিত্রটি আমরা কল্পনা করি তার পরিপূর্ণ রূপটি পাওয়া যায় হাওর জনপদ নিকলীতে। এখান কার বেড়ীবাধের দৃশ্য কেবল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কথাই মনে করিয়ে দেয়। বেড়ী বাধে এলে চোখে পড়বে উড়াল পঙ্খী,কিংবা দূরের অথৈ পানিতে জেলের নৌকা।
মাঝে মাঝে চোখে পড়বে সারি সারি পাল তোলা নাওয়ের দাড় বাওয়া দৃশ্য। এখানে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোর স্বাধই অন্যরকম। তাই কেউ কেউ হাওর দেখার জন্য নৌকায় উঠে ঘুরছে।

রাতের হাওর বিচিত্র সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয়। জোছনা রাতের চাঁদের কিরণ লেগে ঢেউয়ের সাথে এঁকেবেকে চলে। কিংবা অন্ধকারে অসীম নীরবতার দৃশ্য সবই মনোমুগ্ধকর।

শীতের নিকলীতে হৃদয়কে রঙিন করে তুলতে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আকৃষ্ট করে, তা হলো শীতের অবারিত সরিষাখেত, হলুদে হলুদে ভরা শীতের সরিষা ফুলের মাঠ।

কিভাবে নিকলীর হাওর যাবেন

কিশোরগঞ্জ ঢাকার পাশে হওয়ায় বিভিন্ন ভাবে কিশোরগঞ্জ তথা নিকলি হাওর (Nikolir Haor) যাওয়া যায়। তাছাড়া নিকলি হাওর অনেক বড় একটি হাওর তাই আপনি কেন যায়গা থেকে নিকলি হাওর দেখতে চান তার উপর নির্ভর করবে আপনি কিভাবে যাবেন।

রাজধানী ঢাকার মহাখালী বাসস্টেন্ড থেকে অনন্যা সুপারে করে পুলেরঘাট বাজারে নেমে সিএনজি করে চলে জেতে পারেন নিকলীর হাওর।

অথবা মহাখালী বাসস্টেন্ড থেকে জলসিড়ি বাসে করে কটিয়াদি এবং সেখান থেকে নিকলি হাওড়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: ভ্রমণ পাগল,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 3, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.