সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু – কিশোরগঞ্জ

দৃষ্টিকাড়া নান্দনিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক স্থাপত্যকলার কারণে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুটি (Sayed Nazrul Islam Bridge) কিশোরগঞ্জ জেলার একটি উল্লেখ্যযোগ্য দর্শনীয় স্থান। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে মেঘনা নদীর উপর স্থাপিত হয়েছে ১২০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯.৬০ মিটার প্রস্থের এই সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু (বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু)। এই সেতুর উপর দাঁড়িয়ে প্রমত্তা মেঘনার অপার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

এই সেতুর পাশেই রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক ৬ষ্ঠ জর্জ রেলসেতু (হাবিলদার আব্দুল হালিম রেলসেতু)।

মেঘনার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এ সেতুগুলোর চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য, উভয় দিকে সংযোগ সড়ক, সেতুর নীচে উভয় দিকে সংযোগ সড়ক, কৃষ্ণজলের তরঙ্গরাজি, সারিবদ্ধ মালবাহী কার্গো, বিরামহীন যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান, নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দৃশ্য সহ সেতু সংলগ্ন সুরম্য বাংলো গুলো দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে।

সবুজ বৃক্ষরাজি এবং নদীর ঢালে বিছানো পাথর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে অনেকাংশে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত প্রবাহমান মুক্ত বাতাসের এ এলাকাটি ভৈরবসহ আশে পাশের লোকজনকে দিন দিন আকৃষ্ট করছে। অঘোষিত এক দর্শনীয় স্থান হয়ে দাঁড়িছে এলাকাটি।

এ স্থানের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন সকাল, বিকাল ও সন্ধ্যায় সব বয়সের নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, শিশুদের কোলাহলে এলাকটি মুখরিত থাকে।  কর্মজীবি মানুষ ক্লান্তি দূর করতে স্থানটি বেছে নিয়েছেন। পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, স্কুল কলেজের   শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে এখানে আসেন।। নদীর তীরে, গাছের নীচে, বিছানো পাথড়ে বসে আড্ডায় মেতে উঠেন অনেকে। প্রতিদিন মিলন মেলায় পরিণত হয় এলাকাটি।

পশ্চিম প্রান্তে সমৃদ্ধ বন্দর নগরী ভৈরব, পূর্ব প্রান্তে আশুগঞ্জে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জিয়া সার কারখানা। দিনের শেষে রাত নেমে আসার সাথে সাথে ভৈরব এবং আশগঞ্জ বন্দরের বৈদ্যুতিক বাতি এলাকাটি ভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধন করছে।

কিভাবে যাওয়া যায়:

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দূর্জয় মোড় থেকে রিক্সাযোগে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু (মেঘনা রেলসেতু) এবং নীচের মধ্যবর্তী স্থানে যাওয়া যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: ভ্রমণ পাগল,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 3, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.