চলনবিল জাদুঘর – নাটোর

চলনবিল অঞ্চলের কিছু শিক্ষিত সমাজকর্মীর নিরলস শ্রম সাধনা ফল হচ্ছে চলনবিল জাদুঘর (Chalanbil Jadughar)। ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর গরুদাসপুর থানার দূরপল্লীর গ্রাম খুবজীপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভবনে অস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রতিষ্টার পর অল্প সময়ের মধ্যে ঐতিহাসিক চলনবিলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী নিয়ে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে জাদুঘরটি সমৃদ্ধ হয়ে উঠে। এবং ১৯৮৯ সালের ২ জুলাই চলনবিল জাদুঘর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আসে ।

চলনবিল জাদুঘরের নিদর্শন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – বাদশা আলমগীর ও সম্রাট নাসিরুদ্দিনের নিজ হাতে লেখা দুটি কোরাআন শরীফ সহ পুরনো তুলট কাগজে হাতে লেখা তিন-চারশ বছরের পুরনো ৮টি সম্পূর্ণ ও ৭টি আংশিক কোরান শরীফ এবং ১৫টি হাদিস শরীফসহ ২শ ৫৭টি ধর্মগ্রন্থ রয়েছে এ জাদুঘরে । আছে কষ্টি পাথরের সূর্যদেব, বিষ্ণু ও মাতৃকা মূর্তিসহ নানা গবেষণাগ্রন্থ, ৯০টি দেশের মুদ্রা, ডাক টিকিট, ঘট, বিভিন্ন শাসন আমলের টেরাকোটা, শিলা প্রভৃতি ।

চলনবিল জাদুঘর বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ

গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে।

আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর থাকে।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে নাটোর বাসে করে যেতে হবে। নাটোর বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩০ টাকা অটো রিক্সায় চলনবিল জাদুঘরে যাওয়া যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: মার্চ 13, 2018

চলনবিল জাদুঘর – নাটোর, সম্পর্কে পর্যটকদের রিভিউ।

  1. লেখাটা ভালই হয়েছে । কিন্তু বানানের মাঝে মাঝে ভুল গুলো সংসধন করলে আরো ভাল হবে বলে আমি মনে করি।
    ধন্নবাদ লেখককে।

  2. পিংব্যাকঃ নাটোরের দর্শনীয় স্থান - নাটোর

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.