অরুনিমা ইকো পার্ক – নড়াইল

৫০ একর জমি নিয়ে ২০০৯ সালের ১৪ মে অরুনিমা ইকো পার্ক ও রিসোর্ট (Arunima Echo Park) যাত্রা শুরু হয়। ছোট বড় মোট ১৯টি পুকুর আছে এখানে। একটি বড় লেক আছে। এর মাঝে একটি কৃত্তিম দ্বীপ আছে। দ্বীপের মধ্যে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, কটেজ ও কনফারেন্স রুম আছে।

কনফারেন্স রুম গুলোতে এক সঙ্গে ২০০ হতে ৭০০ মানুষ বসতে পারে। বড় অনুষ্ঠান আযোজনের জন্য মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, সাদা বোর্ড সহ সবই আছে এখানে। রাত্রিযাপনের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা আছে এখানে। এস এম সুলতান হল, রয়েল কজেট, মধুমতি নবগঙ্গা কটেজ ও দ্বীপ কটেজ ইত্যাদি সুন্দর সুন্দর আবাসস্থল তৈরী করা হয়েছে অতিথিদের জন্য। বিভিন্ন ধরনের মানুষের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা।

সময় কাটানের জন্য আছে গলফ, টেনিস, টেবিল টেনিস, দাবা, লুডু, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেট বল প্রভৃতি খেলার ব্যবস্থা। বিনোদনের জন্য রয়েছে কয়েক প্রকারের নৌকা, ঘোড়ার গাড়ী প্রভৃতি। এছাড়াও পার্কের ভেতরে রয়েছে নিজস্ব ভ্যান ও রিক্সা। এই সব ভ্যান, রিক্সায় চড়েও অতিথিরা পার্কটি ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন। লেকের পাড়ে বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ ও গাছে ঝোলানো দোলনা। লেকের উপর রয়েছে ৪টি বাঁশের সেতু আছে।

রিসোর্টের ভেতরে পুকুর ও লেকের পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর মাছ আছে। সর্বোচ্চ ৫/৬ কেজি ওজনের মাছ এখানে পাওয়া যায়। ১০০ টাকার টিকিট কেটে এখানে অতিথিরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে পারেন। বাচ্চাদের জন্যেও রয়েছে এ আনন্দের ব্যবস্থা। অল্প পানিতে নেমে মাছ ধরতে পারবে তারা। এর জন্য ৩০ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হয়।

লেকের চারপাশে শত শত বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ রয়েছে। ফুল ও ঔষধী গাছের সংখ্যাও রয়েছে প্রচুর সংখ্যক। আছে ঝাউবন ও পাহাড়। শীতকালে এখানে দেশী বিদেশী নানা প্রজাতির অতিথি পাখি বেড়াতে আসে। তাদের কলকাকলিতে সর্বদা মুখরিত হয়ে থাকে রিসোর্টটি।

রিসোর্টে প্রবেশ করতে হলে ১০০ টাকা মূল্যের টিকিট প্রয়োজন হয়। পিকনিক পার্টির জন্য মাথাপিছু ৫০% ছাড় রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খারাপ নই। এর জন্য রয়েছে ৮ জন অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষী।

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন – চেয়ারম্যান- খবির উদ্দীন আহমেদ- ০১৭১১-৬৯৩৭৮৮, ম্যানেজিং ডিরেক্টর – ইরফান আহমেদ – ম্যানেজার আব্দুল হাকিম – ০১৭১১-৪২২২০৩

কিভাবে যাবেন

অরুনিমা ইকো পার্ক যেতে হলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অথবা মাওয়ায় পদ্মা নদী পার হয়ে ভাঙা-ভাটিয়াপাড়া হয়ে দিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশায় করে মধুমতী নদীর পাড়ে যেতে হবে। অথবা গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন মোড়ে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে শহরের মধ্য দিয়ে মধুমতী নদীর চাপাইল সেতু পার হয়ে সরাসরি অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব যাওয়া যায়।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: ভ্রমণ পাগল,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: এপ্রিল 4, 2018

অরুনিমা ইকো পার্ক – নড়াইল, সম্পর্কে পর্যটকদের রিভিউ।

  1. সব কিছু দেখে ভালো লাগলো। পছন্দ হবার মতো লিখছেন, ওখানে কি কোন থাকা, খাওয়ার, প্যকেজ সিস্টেম আছে? কতো দিন থাকলে কেমন ভাড়া পরবে? আর কেমন রুম ও খাবারের মেনু গুলা জানতে পারি! সকল কিছুর রেটা টা জানতে পারলে, আমি আমার বাজেটের মধ্য হলে, পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে আসাবার চিনতা করতে পারি, দয়া করে জানাবেন,

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.