মুসলিম ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জনপদের কিশোরগঞ্জকে ঘিরে রয়েছে অনেক ইতিহাস। প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যের বিখ্যাত নানা দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ (Pagla Masjid / Pagla Mosque) তারই একটি নিদর্শন।
শহরের পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর তীরে এ তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি অবস্থিত। এর পাঁচতলা সুউচ্চ মিনারটি বহুদূর থেকে সহজেই দৃষ্টি কাড়ে। পাগলা মসজিদের ইমরাত খুবই সুন্দর এবং নির্মাণশৈলীও বেশ চমৎকার। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি নানা ধরণের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে খ্যাত।
পাগলা মসজিদের ইতিহাসঃ
জনশ্রুতি আছে যে, পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিতু হন এবং তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। ফলে কালক্রমে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিত পায়।
এই মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছে নয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও এর আশেপাশের অঞ্চলে সব ধর্মাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত। মানুষের বদ্ধমূল বিশ্বাস, যে কেউ একনিষ্ঠ নিয়তে এ মসজিদে কিছু দান-খয়রাত করলে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়।
ফলে সাধারণ মানুষ এমন বিশ্বাসের আলোকে পাগলা মসজিদে প্রচুর দান-খয়রাত করে থাকেন।
পাগলা মসজিদ বর্তমানে অনেক সম্প্রসারিত। প্রথমে হয়বতনগর দেওয়ানবাড়ির ওয়াকফকৃত ভূমির পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশ। বর্তমানে এর পরিমাণ ৩ একর ৮৮ শতাংশ। মসজিদের ব্যয়ে ২০০২ সালে মসজিদের পাশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি হাফেজিয়া মাদরাসা।
দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে সম্প্র্রতি পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।
কিভাবে যাবেন ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদঃ
মসজিদটি কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া নামক এলাকায় অবস্থিত। শহরের যেকোনো স্থান থেকে রিক্সাযোগে মসজিদে যাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলার হোটেলঃ
মসজিদের আশেপাশে রাতে অবস্থানের জন্য আবাসিক কোন হোটেল ব্যবস্থা নাই।
তবে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বড় বাজারে হোটেল ক্যাসেল সালাম (চাইনিজ ও আবাসিক), আওয়ামীলীগ অফিসের বিপরীতে হোটেল রিভার ভিউ (আবাসিক), রংমহল সিনেমা হলের বিপরীতে হোটেল হোটেল গাংচিল এ থাকা ও খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। আরও রয়েছে হোটেল শ্রাবণী, হোটেল নরসুন্দা, হোটেল আল মোবারক, উজানভাটি সহ বেশ কিছু হোটেল।
আমার বাড়ি কিশোরগঙ্জ জেলায়
আমি পাকুন্দিয়া থানায় থাকি।
এখন আমি পাগলা মসজিদ যেতে চায় এখন আমি কিভাবে যাব?
আমার বাড়ি ঠাকুর গাঁও জেলায় আমি পাগলা মসজিদে কি ভাবে যাব?
আমি এক হাজার। টাকা দান দিবো কি করে দিতে পারবো