রামু রাবার বাগান – কক্সবাজার

ছোট বড় পাহাড়, টিলা আর বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি জুড়ে সারি সারি রাবার গাছ যেন সারি সারি সবুজের হাতছানি। নানা রূপ বৈচিত্র ও অনন্য শিল্পসত্ত্বায় পরিপূর্ণ রামুর সাজানো গুছানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে এ বাগান যেন আরেক আশ্চর্য সুন্দর। এটিই দেশের অন্যতম রামু রাবার বাগান(Ramu Rubber Bagan)।

 শুধুমাত্র রাবার বাগান নয়, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ আপনাকে দেবে মানসি প্রশান্তি আর প্রকৃতির উদারতা।

পর্যটন শহর কক্সবাজারের ১৮ কিলোমিটার আগে রামু উপজেলার ১৯৬০৬১ সালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন বাগানটি গড়ে তোলে। বর্তমানে দুই হাজার ৬৮২ একর এলাকায় বাগানটি বিস্তৃত। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহা সড়কের দুপাশে পাশ ঘেষে চা বাগান এলাকা থেকে উত্তরে জোয়ারিয়ানালার মালাপাড়া, পূর্বে জুমছড়ি, গর্জনিয়া, দক্ষিণে লট উখিয়ার ঘোনা পর্যন্ত বর্তমানে বাগানের অবস্থান।

মহা সড়কের দু’পাশে সারি সারি রাবার গাছ যেন বিস্তীর্ণ সবুজের সমারোহ, এর মাঝেই চলে পাখপাখালির কলতান। সব মিলিয়ে খুব সহজেই দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে বাগানটি। চা বাগান মোড় সংলগ্ন রাবার বাগানের মাঝখানে পাহাড় চূড়ায় উঠে গেছে ইটের রাস্তা যার শেষ প্রান্তে রয়েছে কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে পুরনো বিশ্রামাগার। এটি রাবার বাগান রেষ্ট হাউজ নামে পরিচিত। বিশ্রামাগারের চার পাশের চমৎকার পরিবেশ এখানকার রূপলাবণ্য হাজারগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। রাত্রি যাপন, পিকনিক বা যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমানে এটি রামুর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এ স্থানে রয়েছে বাড়তি আকর্ষণ।

শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্র রামুতে রাবার বাগান রেস্ট হাউস ছাড়াও বেশ কয়েকটি দশর্নীয় স্থান থাকলেও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের রূপ বিচারে এটিই সবচেয়ে সেরা। বিভিন্ন সংগঠনের পিকনিকসহ নানা রকম অনুষ্ঠানর বেশিরভাগ এখানেই আয়োজন করা হয়। চার পাশের পরিবেশ এতই চমৎকার ভালো না লাগার উপায় নেই। তাছাড়া  রামুর অনেক গুলো প্রাচীন নিদর্শন বা বৌদ্ধমন্দির হতে পারে আপনাদের ভ্রমন বা বিনোদন কেন্দ্র।

 

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: ভ্রমণ পাগল,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: ফেব্রুয়ারি 12, 2018

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.