ভ্রমণপিয়াসী মানুষেরা সব সময় নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা থেকে একটু হাফ ছেড়ে বাঁচতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। খুলনার সেই সব ভ্রমণপিয়াসী মানুষের সময় এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখেই খুলনার বটিয়াঘাটার পশুর নদের অববাহিকায় তৈরি করা হয়েছে ‘রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক’।
খুলনা শহরের অদূরে রানা রিসোর্ট এর অবস্থান হওয়ায় খুলনাবাসীর জন্য এটাই আদর্শ দর্শনীয় স্থান। ভ্রমনের শুরুতে পার্কে প্রবেশ করলে প্রশান্তিতে ভরে যাবে আপনার মন। সবকিছুই অত্যন্ত পরিপাটি, সাজানো-গোছানো। ভেতরের আসবাবপত্র রুচিশীল, মূল্যবান এবং আভিজাত্যে পরিপূর্ণ। বিদেশি পর্যটকরা আকৃষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে সরে এসে স্থানীয়রাও বিনোদন খুঁজে পাবেন এখানে এসে।
ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক কটেজ, আধুনিক ও জনপ্রিয় রাইড সম্বলিত অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার কিংডম, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ভ্রমণ (রিভারক্রুজ) সুবিধা। এই পার্কে বিশেষ আকর্ষণ সুনামিপুল যা বাংলাদেশে প্রথম, যেখানে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট সাগরের উত্তাল ঢেউ এবং ওয়াটার স্লাইড ও ডিজে মিউজিক এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড ও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে। এর ঢেউ হবে সাড়ে ৪-৫ ফুট।
বিশেষ করে শিশুদের আনন্দের জন্য এ পার্ককে বলা যেতে পারে ‘শিশু স্বর্গ’। ৯ দশমিক ২৫ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এই অসাধারণ অ্যামিউজমেন্ট পার্কটিতে রয়েছে ক্যারোসেল, অক্টোপাস রাইড, নাগরদোলা, বাম্পার কার, সেল্ফ কন্ট্রোল্ড প্লেন, ট্রেন, ফ্লাইং কার, জাম্পিং ফ্রগ, লেডি বাগ, মটর রাইড, কেবল কার, সুনামি পুল, ওয়াটার স্লাইড রাইন্ড।
মনোলোভা এই পার্কের নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ আপনাকে করবে সতেজ । সাথে আপনার পরিবার পরিজন বা আপনার প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নিয়ে পিকনিক করতে পারবেন নিশ্চিন্তে। আপনি ও আপনার পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে বিশ্রাম ও রাত্রীযাপন করার জন্য আছে ফাইভ স্টার মানের হোটেল ও রিসোর্ট।
প্রবেশ ফি – রিসোর্টে প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ৩শ’ টাকা।
যেভাবে যাবেন
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বরণপাড়ায় ‘রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক’টি অবস্থিত। খুলনার জিরোপয়েন্ট থেকে বাস, মাইক্রোবাস, ইজিবাইকসহ যেকোনো যানবাহনে সড়ক পথে এখানে আসা যায়। শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার অদূরে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে যেতে পারেন এ রিসোর্ট থেকে।