মিয়ার দালান(Miar Dalan) বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার মুরারীদহে অবস্থিত একটি পুরানো জমিদার বাড়ি। এটি ঝিনাইদহের একটি দর্শণীয় স্থান।বাড়ীটি স্থানীয় নবগঙ্গা নদীর উত্তর দিকে অবস্থিত। ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। বর্তমানে বাড়িটি ভগ্নপ্রায়।প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী ইমারতের প্রধান ফটকে নির্মান সময়ের কিছু কথা কাব্যিক ভাবে খোদাই করা আছে। তাতে লেখা,‘শ্রী শ্রী রাম, মুরারীদহ গ্রাম ধাম, বিবি আশরাফুন্নেসা নাম, কি কহিব হুরির বাখান। ইন্দ্রের অমরাপুর নবগঙ্গার উত্তর ধার, ৭৫,০০০ টাকায় করিলাম নির্মান। এদেশে কাহার সাধ্য বাধিয়া জলমাঝে কমল সমান। কলিকাতার রাজ চন্দ্র রাজ, ১২২৯ সালে শুরু করি কাজ, ১২৩৬ সালে সমাপ্ত দালান।বঙ্গাব্দ ১২৩৬ সালে নির্মাণ শেষ হওয়া এই ইমারতটি ঠিকঠাক মত রক্ষনাবেক্ষণ করা গেলে সেটা ঝিনাইদহ শহরের একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। যত দূর জানা যায় যে জমিদার এই দালানটি নির্মাণ করেন তিনি ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় ভবনটি বিক্রি করে দেন সেলিম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির কাছে। তাই ভবনটিকে স্থানীয় ভাবে কেউ কেউ সেলিম চৌধুরীর বাড়িও বলে থাকে।বলা হয়ে থাকে বাড়িটি থেকে নবগঙ্গা নদীর নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ছিল। সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ এখনো চিহ্নত করা যায়। নদীতে যে ভাবে বাঁধ দিয়ে ইমারতটি নির্মান করা হয়েছিল সেভাবে তৈরি আর কোন পুরানো ইমারত ঝিনাইদহ শহরে দেখা যায় না।বাড়িটির স্থানীয় ভাবে ব্যাপক পরিচিতির আর একটি বড় কারণ বাড়িতে থাকা একটি বিশেষ খেজুর গাছ, যে গাছটিতে একাধিক মাথা ছিল এবং প্রতিটি মাথা থেকেই রস আহরণ করা যেতো।
কীভাবে যাবেনঃ
দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঝিনাইদহ শহরে পৌঁছে ইজিবাইক, ভ্যান, রিকশাযোগে মিয়ার দালান জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
আজ সরাসরি এসে এখানে যে তথ্য পেলাম তাতে পরিস্কার জানা গেলো সেলিম চৌধুরীই মিয়ার তালানের মূল মালিক কিন্ত গুগলে লেখা কোন জমিদার থেকে ৪৭ সালের পর নাকি সেলিম চৌধুরীই নাকি ভবনটি ক্রয় করেন। তবে কোন টা সত্য মানবো আমরা????