মধুপুর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ উন্মুক্ত উদ্যান, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। নিসর্গপ্রেমীদের কাছে মধুপুরের জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান।
মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক থেকে বনের মধ্যে ইট বাঁধানো পায়ে চলার পথ। এই পথ ধরে হরিণ প্রজনন কেন্দ্রে যাওয়া যায়। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে ময়মনসিংহ যাবার পথে রসুলপুর মাজার নামক স্থানে গিয়ে মধুপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান ফটক বামদিকে দেখতে পাওয়া যায়। ফটকের পাশেই মধুপুর জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ অফিস ও সহকারী বন সংরক্ষকের অফিস অবস্থিত। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে বনের ভিতর ঢুকতে হয়। এই উদ্যান ৮,৪৩৬ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এই উদ্যান মূলত বিস্তৃত শালবনের খানিকটা অংশ নিয়ে গঠিত।
শাল, বহেড়া, আমলকি, হলুদ, আমড়া, জিগা, ভাদি, অশ্বথ, বট সর্পগন্ধা, শতমূলী, জয়না, বিধা, আজুকি/ হারগাজা, বেহুলা প্রভৃতি নানা জাতের বৃক্ষরাজিতে শোভিত এই উদ্যান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাহাড়ি আলু, শটি আর নাম না জানা বিভিন্ন ধরণের লতাগুল্ম।
এই বনে বানর, বন্য শুকর, মুখপোড়া হনুমান, মায়া হরিণসহ ১১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী; বনমোরগসহ ৩৮ প্রজাতির পাখি, ৪ প্রজাতির উভচর ও কয়েক প্রজাতির সরিসৃপ রয়েছে। বনের ঠিক মাঝখানে লহরিয়া বিট অফিসের কাছে রয়েছে একটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মধুপুর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ঢাকার মহাখালি বাস স্টেশন থেকে বিনিময় ও শুভেচ্ছা পরিবহনের বাস চলে এ পথে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ দুটি পরিবহন সংস্থার বাস চলাচল করে। ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা। শুভেচ্ছা পরিবহনের আরামদায়ক গাড়ি মহাখালি থেকে বিকাল ৫টায় ছেড়ে আসে। মোবাইল নাম্বার ০১৭২৯৭০২১৪০।
কোথায় থাকবেন
উদ্যানের ভীতরে দোখলা নামক স্থানে দোখলা রেস্ট হাউজ, চুনিয়া কটেজ, বকুল কটেজ নামে কয়েকটি কটেজ রয়েছে। কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এখানে রাত্রিযাপন করতে পারেন। এখানে খাওয়া দাওয়া সহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যাত্রিযাপনের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
যোগাযোগ
মোঃ শরফুদ্দিন,
এসিএফ সহকারী বন সংরক্ষক (উত্তর),
মধুপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল – ০১৯১৪৫১৭২৫৬