কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান
ত্রিপুরার রাজারা এক সময় গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসেবে গোড়াপত্তন করেছিলেন গোমতীর তীরের এই কুমিল্লার। প্রাকৃতিক শোভায় সুশোভিত কুমিল্লা জেলায় রয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন স্থান। কুমিল্লা জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে প্রাচীন সভ্যতার নীরব সাক্ষী হিসাবে রয়েছে – বিহার, শালবন, রুপবানমুড়া, ইটাখোলামুড়া, ময়নামতি ঢিবি, রানীর বাংলো, ময়নামতি জাদুঘর আরও আছে অপূর্ব প্রাকৃতিক ঘেরা সবুজ বৃক্ষবেষ্টিত লালমাটির লালমাই পাহাড়। যোগাযোগের সুবন্ধবস্থ থাকায় কুমিল্লার এ জনপদে দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দৃষ্টিনন্দন এসব স্থানগুলো পরিদর্শনে। কুমিল্লার খাদি শিল্প, তাঁত শিল্প, কুটির শিল্প, মৃৎ ও কারু শিল্প, রসমালাই, মিষ্টি, ময়নামতির শীতল পাটি ইত্যাদি স্ব-স্ব ঐতিহ্যে স্বকীয়তা আজও বজায় রেখেছে। কালের বিবর্তনের ধারায় এসেছে অনেক কিছু, অনেক কিছু গেছে হারিয়ে, হারায়নি এখানকার মানুষের আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও সামাজিক সম্প্রীতি।
ধর্মসাগর দীঘি – কুমিল্লা
তিনি ছিলেন পাল বংশের রাজা। বাংলায় তখন ছিল দুর্ভিক্ষ। রাজা দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সাহায্যের জন্য এই দীঘিটি খনন করেন। এইঅঞ্চলের মানুষের জলের কষ্ট নিবারণ করাই ছিল রাজার মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনময়নামতি ওয়ার সেমেট্রি – কুমিল্লা
ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) নিহত ভারতীয় (তৎকালীন) ও বৃটিশ সৈন্যদের কবরস্থান।
আরও পড়ুনআনন্দ বিহার – কুমিল্লা
আনন্দবিহার বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ ও প্রাচীন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। আনন্দ বিহার ময়নামতীতে আবিষ্কৃত বৌদ্ধবিহারগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ।
আরও পড়ুনশালবন বিহার – কুমিল্লা
কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধান।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী – কুমিল্লা
ছায়া সুনিবিড়ি মমতা ঘেরা রাস্তা। দু’পাশে নানা রকমের নানা রংয়ের ফুল ও ফলের বাগান। পাখির কূজন আর ফুলের গন্ধে চারদিক ঘিরে রেখেছে বার্ডকে।
আরও পড়ুনজাহাপুর জমিদার বাড়ি – কুমিল্লা
কালের বিবর্তনে বাংলার মাটি থেকে অনেক আগেই জমিদার ও জমিদারী প্রথা উঠে গেছে, কিন্তু মুছে যায়নি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন