রূপবানমুড়া – কুমিল্লা

রূপবান মুড়া (Rupabanamura)

কুমিল্লা শহর থেকে একটু দুরে বার্ডের পাশেই। লোক মুখে শোনা এখানে রহিম আর রূপবান প্রেম করার জন্য এসেছিল। সেখানে অনেকে যায় তাদের সঙ্গীদের নইয়ে। তবে সাবধান সেখানে অনেক ছিচকে চোর থাকতে পারে একা গেলে বিপদে পরতে পারেন। তবে জায়গাটা সুন্দর আছে গেলে ভাল লাগবে।

ময়নামতি

ময়নামতি বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন সভ্যতার এক সাক্ষী। ১৯৫৫-৫৬ সালে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খননকাজ চালিয়ে অষ্টম ও দ্বাদশ শতাব্দীর বৌদ্ধ সংস্কৃতির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে। এই প্রত্নতত্ত্ব প্রথম আবিস্কৃত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী রানী ময়নামতির নামানুসারে এ স্থানের নামকরণ করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কুমিল্লা বিমানবন্দর নির্মাণকালে এটির সন্ধান পাওয়া যায়। এই ময়নামতিতে যেসব প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন পাওয়া গেছে তার মধ্যে তাম্র শাসন, রৌপ্যমুদ্রা, ব্রোঞ্জের বৌদ্ধ মূর্তি, পোড়ামাটির ফলক চিত্র, কারুকার্যময় ইট, পাথর, অলংকারে তাম্র পত্র ইত্যাদি। তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন তৈজসপত্রও লক্ষ করা যায়। এসব টিলার ঢালে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের প্রাচীন বৌদ্ধ সংস্কৃতির অসাধারণ নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। তাই ময়নামতিকে বৌদ্ধ সংস্কৃতির তীর্থস্থান বলা হয়। ময়নামতির একদিকে রয়েছে প্রাকৃতিক টিলার অপরূপ সৌন্দর্য, অপরদিকে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর। এই জাদুঘরে রয়েছে বৌদ্ধ যুগের অনেক মূর্তি। এ ছাড়া রয়েছে প্রাচীন শিলালিপি, প্রাচীন পত্রলিপি, মধ্যযুগের তৈজসপত্র, থালাবাসন, শিবলিঙ্গ, শিবমূর্তি, প্রাচীন মুদ্রা। এই জাদুঘরে ঢুকলে আপনার কাছে মনে হবে বর্তমান থেকে অতীত যুগে বা মধ্য যুগে চলে গেছেন।
লালমাই পাহাড়

কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম দিকে লালমাই পাহাড় অবস্থিত। এই পাহাড়টি ছোট ছোট টিলা দ্বারা বেষ্টিত। প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল গাছ এবং বিশাল বিশাল পাহাড়ি গাছ দ্বারা বেষ্টিত। আয়তন ৩৩.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। এর উচ্চতা ২১ মিটার। আজ থেকে ২৫ কিংবা ২৬ হাজার বছর পূর্বে এটি তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করা যায়। ময়নামতির লালমাই পাহাড়ের সুনিবিড় ছায়াঘেরা সবুজবেষ্টিত গাছগাছালি ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর যেকোনো ভ্রমণ পিপাসুর মনে দাগ কাটবে অনেক দিন।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী(বার্ড)

বাংলাদেশের পল্লী এলাকার প্রকট দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে ১৯৫৯ সালে অধ্যক্ষ আখতার হামিদ খান বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী(বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন। আখতার হামিদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার জন্ম কুমিল্লা জেলায়। বিশাল আয়তন নিয়ে এই বার্ডটি অবস্থিত। অসংখ্য গাছগাছালি ও সুনিবিড় ছায়াঘেরা সবুজ পাতা। মূলত পল্লী মানুষের উন্নয়নের জন্য এই বার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। পল্লীর হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণের জন্য প্রত্যেক থানা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বার্ড। এটি কুমিল্লার কোর্টবাড়ীতে অবস্থিত। এখানে দুর্লভ জাতীয় গাছও দেখতে পাওয়া যায়। কুমিল্লার গর্ব ও বলা হয় একে।

ওয়ার সিমেট্রি

কুমিল্লা শহরের ৭ বা ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট। এই ক্যান্টনমেন্টের একটু উত্তর দিকে ওয়ার সিমেট্রি। টিলার নিচে উঁচুনিচু ভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত বিভিন্ন দেশের সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র সারি সারি সাজানো হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, মিয়ানমার, জাপান, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের কমপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০ সৈনিকের দেহ সারিবেঁধে সমাধিস্থ হয়েছে। প্রতিটি সারির ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। ওয়ার সিমেট্রির চারপাশে বিভিন্ন গাছ ও ফুল গাছ দেখা যায়। ঘন সবুজ দূর্বা ঘাস ওয়ার সিমেট্রিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। ওয়ার সিমেট্রিকে কুমিল্লার লোকেরা ইংরেজ কবরস্থান বলে থাকে। সবুজে ঘেরা বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ বেষ্টিত এই জায়গায় গেলে আনন্দিত মনকে অজানা বিষণ্যতার পরশ দিয়ে যাবে। নিবিড় এই সুন্দর পরিবেশে ভ্রমণ পিপাসুরা কিছু সময় কাটিয়ে দিতে পারেন নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে।

শালবন বিহার

কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে লালমাই ময়নামতি পাহাড়। অষ্টম শতাব্দীতে দেব বংশের রাজা ভবদেব এই বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ মন্দির তৈরি করেন বলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মনে করে। শালবন বৌদ্ধ বিহারটি চতুষ্কোণ দুর্গ আকারে নির্মিত। এর আয়তন প্রায় ৫৬০-৫৪০ বর্গফুট। বিহারের চারদিকে প্রশস্ত বেষ্টনী প্রাচীর রয়েছে। প্রাচীরের উচ্চতা ১৫.৬ ফুটের মতো হবে। সমগ্র বিহারের প্রবেশপথ মাত্র একটি। ধারণা করা যায়, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য নির্মিত হয়েছে এই বিহারটি। বিহারটির প্রাচীরের পেছনে দেয়াল হিসেবে ব্যবহার করে ১১৫টি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। আশ্চর্য বিষয়, কক্ষগুলোর মধ্যে কোনো জানালা দেওয়া হয়নি। প্রতিটি কক্ষে তিনটি করে কুলঙ্গি ছিল, যেখানে দেবদেবীর মূর্তি ও তাদের ধর্মীয় ত্রিপিটক ও বই রাখা হয়। এই শালবন বিহারের চারটি বাহুতে সর্বমোট ১১৩ থেকে ১১৪টির মতো ভিক্ষু ছাড়াও কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে। এই প্রত্নতাত্ত্বিক বিহারকে বাংলাদেশে সন্ধান পাওয়া অনেক বিহারের অন্যতম। সরকারের রেজিস্টারের মতে, সবচেয়ে পুরোনো বৌদ্ধ বিহার। নিরিবিলি ছায়াঘেরা শালবন বিহার ভ্রমণকারীকে আকৃষ্ট করবে অনেক দিন। এই বৌদ্ধ মন্দিরটির স্থাপত্য বাংলাদেশের প্রাচীন যুগের এক অপূর্ব সাক্ষী। চমৎকার কারুকার্যময় ইটের এই বিহারটি যেকোনো মানুষকে তাক লাগিয়ে দেবে।

শালবন

শালগাছের আরেকটি নাম হচ্ছে গজারি গাছ। শালবনকে পত্রঝরা বন বলে। এই পত্রঝরা বন একটি কুমিল্লায়, অন্যটি গাজীপুরে। কোর্টবাড়ী সংলগ্ন এই শালবনটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক ভ্রমণকারী আসে। বিকেল বেলা এই গাছের নিচে বসে থাকলে মন প্রশান্তিতে ভরে ওঠে। এই শালবনের পাশে রয়েছে একটি বিহার। তাই একে সবাই একনামে শালবন বিহার বলে থাকে।

আনন্দ বিহার

কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং শালবন বিহার থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তরে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টের কাছে এটি অবস্থিত। এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ছিল। প্রতœতত্ত্বের মতে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার। বর্গাকৃতি এই আনন্দ বিহারটির প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৬০০ থেকে ৬৬০ ফুট। এই বৌদ্ধবিহারটির উত্তর বাহুর মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে প্রধান প্রবেশপথ। এই বিহারটির দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের ফলক অঙ্কিত হয়েছে, যা বৌদ্ধদের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। বৌদ্ধ রাজা আনন্দ রায়ের নামানুসারে এর নাম আনন্দ বিহার। অপরূপ কারুকাজে অঙ্কিত এই বৌদ্ধবিহারটিকে দেখে যেকোনো ভ্রমণকারী মুগ্ধ হবে। এই আনন্দ বিহারের চারপাশের পরিবেশ খুবই দৃষ্টিনন্দিত।

ধর্মসাগর

কুমিল্লা শহরের ভেতরে রয়েছে ধর্মসাগর। এই ধর্মসাগরের উত্তর কোণে রয়েছে কুমিল্লার শিশুপার্ক। এই শিশুপার্কে বসে সাগরের দৃশ্য উপভোগ করা যায়, সবুজ শ্যামল ও বিশাল বড় গাছ নিয়ে এই শিশুপার্ক। এই শিশুপার্কে বসলে মন ভরে যায় ভালো লাগার পরশে। রাজা ধর্মপালের নামানুসারে এই দীঘির নাম হয়েছে ধর্মসাগর। এটি সুবিশাল আয়তকার দীঘি। প্রায় ২০০-২৫০ বছর আগে আনুমানিক ১৭৫০ অথবা ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে প্রজাহিতৈষী রাজা ছিলেন ধর্মপাল। তিনি ছিলেন পাল বংশের রাজা। বাংলায় তখন ছিল দুর্ভিক্ষ। রাজা দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সাহায্যের জন্য এই দীঘিটি খনন করেন। এই অঞ্চলের মানুষের জলের কষ্ট নিবারণ করাই ছিল রাজার মূল উদ্দেশ্য। এই দীঘিটি কেবল স্থানীয় মানুষের জলকষ্ট নিবারণ করছে, তা নয়। আনন্দপ্রিয় মানুষের কাছে সৌন্দর্যম-িত এ অপরূপ নয়নাভিরাম এই বিশাল দীঘিটি দখলকারীদের গ্রাসে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। এই দীঘিই ভ্রমণকারীদের= মনকে ছুঁয়ে যায় মনোমুগ্ধকর কাল্পনিক এক ভালোলাগার পরশে। প্রতিদিন বিকেলে হাজারো মানুষের ভিড় থাকে এখানে।সম্প্রতি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন একে সিটি পার্ক নামে নামকরন করেছে।

গোমতি নদী

কুমিল্লা শহরের ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে ক্যান্টেনমেন্টের পূর্ব-উত্তরে রয়েছে গোমতি নদী। এই নদীতীরের বাঁধ কুমিল্লা শহর রক্ষা বাঁধ। গোমতিকে বলা হয় কুমিল্লার প্রাণ। বর্ষাকালে এই নদীটির দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর। বর্ষাকালেই দেখা যায় এর ভরা যৌবন। নদীর কলকল ঢেউয়ের শব্দ দূরের ঘরবাড়ি, জেলেদের সারি বেঁধে মাছ ধরা, সাদা গাঙচিল, নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা ইত্যাদি দৃশ্য যেকোনো ভ্রমণকারীকে কিছু সময়ের জন্য কবি করে তুলবে। ছবি তোলার জন্য এক অাকর্ষনীয় জায়গা হতে পারে এটি।

কালী মন্দির

কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ের একটু পূর্বে কালী মন্দির। এই মন্দিরটিকে কয়েকবার পুনর্নির্মাণ করার ফলে মন্দিরটির নকশা পরিবর্তন হতে থাকে। বিশাল আকৃতির মন্দিরের প্রত্যেকটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬০ থেকে ১৮০ ফুট। মন্দিরের প্রতিটি দেয়ালে রয়েছে আকৃষ্ট করার মতো বিভিন্ন পোড়ামাটির ফলকচিত্র। এই ফলকগুলো মূলত বিভিন্ন জীবজন্তু, দেবদেবী, পশুপাখি, নরনারী প্রভৃতি চিত্র, যা চোখে দেখার মতো। এ ছাড়া রয়েছে ময়নামতিতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। যুদ্ধে বিভিন্ন শহীদ ও বীর সেনাদের নাম, তাদের সাহসিকতার কর্মকান্ড, বিভিন্ন তলোয়ার, বন্দুক, পিস্তল, মুক্তিযুদ্ধাদের ছবি ইত্যাদি। শহরের উপকণ্ঠে কান্দিরপাড়ে স্থাপিত ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে ১৮৯৯ সালে নির্মিত কুমিল্লা জেলার ঐতিহ্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।এ ছাড়া রয়েছে দেশখ্যাত কুমিল্লার রসমালাই। ভ্রমণপিপাসু কেউ কুমিল্লা ভ্রমণে গেলে রসমালাই খেতে যেন না ভোলেন।

রিসোর্টসমুহ

ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশে অনেক রিসোর্ট রয়েছে। প্রায় সবগুলোতে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। বার্ড নামের রিসোর্টটিতে থাকতে গেলে বুকিংয়ের প্রয়োজন নেই। এখানে রয়েছে কনফারেন্স ও পার্টি হলের বিশেষ ব্যবস্থা। খাবার-দাবারের ব্যবস্থা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ করে থাকে। রুমের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। এসি রুম ও নন-এসি রুম আলাদা করে ভিন্ন ভাড়াতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া রয়েছে নূরজাহান রিসোর্ট, হাইওয়ে ইন কুমিল্লা। সব রিসোর্টই মহাসড়কের প্রায় পাশেই। এখানে বাড়তি পেতে পারেন খদ্দর কাপড়ের বিশাল বাজার থেকে ঘুরে আসার সুযোগ। এ ছাড়া রিসোর্টগুলোর নিজস্ব গাড়িতে করে ময়নামতি ঘুরে আসতে পারেন। ঢাকা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এসব রিসোর্টে ইচ্ছা করলেই আপনি ঘুরে আসতে পারেন।

যেভাবে যেতে হবে

ঢাকা থেকে কুমিল্লা ৯৬ কিলোমিটারের পথ। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে সরাসরি বাস যাতায়াত করে। ঢাকা থেকে প্রাইম, তিশা, এশিয়া লাইন ইত্যাদি। আর কমলাপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে পাওয়া যাবে রয়েল প্লাটিনাম কোচ বাসে আপনি সরাসরি যেতে পারেন। বাস ভাড়া জনপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ আর এসি বাস ২৫০ টাকার মধ্যে আর প্লাটিনাম সীটে ৩২০ টাকা নিবে । এছাড়া চট্টগ্রাম,ফেনী,লাকসামের যে কোনো বাসে চড়েই পৌঁছাতে পারেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত। এছাড়া ট্রেনযোগে অাপনি অনায়াসেই কুমিল্লা অাসতে পারেন।

কোথায় থাকবেন

থাকার জন্য কুমিল্লায় বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে হোটেল চন্দ্রিমা, হোটেল সোনালী, হোটেল, শালবন, হোটেল, নিদ্রাবাগ, আশীক রেস্ট হাউস ইত্যাদি। ভাড়া ২০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। আর তার থেকে ভাল একটা আছে নাম রেড রুফ ইন সেটা রেইসকোর্স এলাকায় ভাড়া ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা হবে।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: আবদুর রহমান,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: February 12, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.