মানিকছড়ি মং রাজবাড়ী – খাগড়াছড়ি

মানিকছড়িতে কংজয়ের (১৭৯৬-১৮২৬) রাজত্বের মধ্য দিয়ে এখানে মং রাজার র্কযক্রম শুরু হয়। সপ্তম রাজা মং প্রু সাইন (১৯৫৪-১৯৮৪) রাজা থাকা অবস্থায় খাগড়াছড়ির উন্নয়নে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে প্রজাদের সুখ-দুঃখে রাজার অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। রাজা ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে তৎকালীন মহাকুমা শহর রামগড়ে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। একপর্যায়ে রাজা তার স্ত্রী, মেয়ে, নাতি ও নাতনিদের নিয়ে তার রাজকীয় স্বর্ণালঙ্কার ও গুপ্তধন মাটির নিচে চাপা দিয়ে জীবন রক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাটি ও মানুষের টানে ফের মানিকছড়ি রাজপ্রাসাদে(Manikchari Mung Rajbari) ফিরে আসেন। কিন্তু মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণলঙ্কার ও গুপ্তধনের কোনো হদিস পাননি। তার পরও রাজা দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে ১৯৮৪ সালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কালের বিবর্তনে এই ঐতিহ্যগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সুদৃষ্টি পেলে এখনও তার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছে এলাকার নাগরিক সমাজ।

কিভাবে যাবেনঃ

খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানিকছড়ি আমতল অথবা মহামূনি নামক স্থানে নেমে রিক্সাই অথবা পায়ে হেঁটে মং রাজবাড়ীতে যাওয়া যায়। জেলার মানিকছড়ি উপজেলার মং সার্কেলের রাজার প্রাচীন রাজবাড়ি এবংরাজত্বকালীন স্থাপত্য খাগড়াছড়ি জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। রাজার সিংহাসন, মূল্যবান অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক স্মৃতি বিজড়িত এ রাজবাড়ি। যদিও সুষ্ঠু সংরক্ষণ, যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে হারিয়ে গেছে অনেক কিছু। মংরাজার ইতিহাস, সংস্কৃতি জানা ও দেখার জন্য ঘুরে যেতে পারেন মং রাজবাড়ি।মানিকছড়ি সদর উপজেলা

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: সাফায়েত,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: February 12, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.