মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডম – শরীয়তপুর

ব্যক্তি উদ্যোগে ২০১১ সালে প্রায় ৫০ একর জমির ওপর নির্মান করা হয় বৃহত্তম ফরিদপুরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম (Mordern Fantasi Kingdom)। শরীয়তপুরে নড়িয়া থানা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে কলুকাঠি গ্রামে মনোরম পরিবেশে মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডম নির্মিত হয়েছে। মূলত মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডম নির্মিত হয়েছে একটি সামাজিক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে। দেশের উন্নত বিনোদন কেন্দ্রের মত এখানে ও আধুনিক বিনোদনের সকল ব্যবস্থা আছে।

বিনোদনের জন্য এখানে বিভিন্ন রাইড, মিনি চিড়িয়াখানাসহ এর নান্দনিক সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে আকর্ষন করে। শিশুদের জন্য রয়েছে সুপার চেয়ার, স্পীড বোট, শিশু রাইড, ওয়াটার হুইল, ট্রেন, ক্যাবল কার, ওয়াটার রাইট, মেরি গ্রাউন্ডসহ মজার মজার সব রাইড। এছাড়া রয়েছে দু’টি খেলার মাঠ এবং একটি বিশালাকার পুকুর। রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ওষুধি গাছ।

মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমের সবচেয়ে আকর্ষণ বিশালাকৃতির ৩টি খাঁচায় সুন্দরবনের ২০টি হরিণ, সঙ্গে হরিণ শাবক। এছাড়া রয়েছে একটি বিশাল অজগর সাপ, দুটি কুমির, ২০টির মতো বানর, ১টি চিতাবাঘ, ২টি ময়ূর, একটি সজারু, ২টি ভাল্লুক, ৭টি কচ্ছপ, ২টি উটপখি, ২টি ইমু পাখি, ১টি কালিম পাখি, ৮টি খরগোশ, ৩০টি গিনিপিগ, ২টি সজারু, ২টি বক্সার ডক এবং অ্যাকুরিয়ামে বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।

শুধু বিনোদন কেন্দ্রই নয়  বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও বনভোজনের ব্যবস্থাও রয়েছে এ মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডমে। দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে মর্ডান ফ্যান্টাসি কিংডম।

কীভাবে যাবেন

সড়ক পথে –  ঢাকার সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ট থেকে সরাসরি গ্লোরী পরিবহনে উঠে নড়িয়া। সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশায়  মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম। এছাড়া ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাওয়া হয়ে যেতে পারেন নড়িয়ায়।

নৌ-পথে  –  ঢাকার সদরঘাট থেকে নিরাপদ, যাত্রিক, সুরেশ্বর নামক লঞ্চযোগে নড়িয়া লঞ্চঘাট। সেখান থেকে রিকশা কিংবা অটোরিকশায় মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমে।

তথ্য সংগ্রহ ও উপস্থাপনায়: ভ্রমণ পাগল,
সর্বশেষ আপডেট হয়েছে: March 27, 2018

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.